scorecardresearch
 

France Football: এমবাপের অধিনায়কত্বে ফ্রান্সের প্রথম জয়, নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জোড়া গোল ক্যাপ্টেনের

ইউরো কাপ ২০২৪ কোয়ালিফাইয়ারের (Euro 2024 Qualifiers) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স (France National Football Team) বনাম নেদারল্যান্ডস (Netherlands Football Team)। আর সেই ম্যাচেই নেদারল্যান্ডসকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ইউরো কাপের দিকে আরও একধাপ এগোল ফ্রান্স। 

Advertisement
কিলিয়ান এমবাপে কিলিয়ান এমবাপে
হাইলাইটস
  • জোড়া গোল এমবাপের
  • ৪-০ গোলে নেদারল্যান্ডসকে হারাল ফ্রান্স

ইউরো কাপ ২০২৪ কোয়ালিফাইয়ারের (Euro 2024 Qualifiers) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স (France National Football Team) বনাম নেদারল্যান্ডস (Netherlands Football Team)। আর সেই ম্যাচেই নেদারল্যান্ডসকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ইউরো কাপের দিকে আরও একধাপ এগোল ফ্রান্স। 

এই ম্যাচ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছিল কারণ, এমবাপের (Kylian Mbappe) অধিনায়কত্বে এই প্রথম মাঠে নামল ফ্রান্স। যদিও গ্রিজম্যানের (Antoine Griezmann) মতো অভিজ্ঞ ফুটবলারকে বাদ দিয়ে, শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের ওপর বিচার করে এমবাপেকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে চর্চা চলছিল বিশ্বফুটবলের (World Football) অন্দরেই। গ্রিজম্যানের হতাশা কাটাতে তার সঙ্গে ম্যাচের আগে কথাও বলেন এমবাপে নিজে। কিন্তু এই “ইগো” সমস্যার কোনো প্রভাবই এই ম্যাচে পড়েনি। বরং জোড়া গোল করে এমবাপে বুঝিয়ে দিলেন,  ফরাসি ফুটবল কর্তারা কেন তার হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন।  

প্রসঙ্গত করিম বেঞ্জেমার (Karim Benzema) অবসরের পর এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ফ্রান্স (France)। ফলে স্বভাবতই এই ম্যাচ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। ফরাসি জাতীয় দলে বেশ কিছু তরুণ তারকার অন্তর্ভুক্তি ঘটেছিল। অরেঞ্জ আর্মির হেডস্যার কোম্যানও (Ronald Koeman) সিনিয়র-জুনিয়র কম্বিনেশনে দল গড়েছিলেন। তবে আগের ম্যাচ হেরে যাওয়ায় এই ম্যাচ জয়ের জন্য ঝাঁপিয়েছিলেন। কিন্তু পারলেন কই? ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেঁশ (Didier Deschamps) দল সাজিয়েছিলেন ৪-২-৩-১ ছকে। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস কোচ রোনাল্ড কোম্যান ৪-৩-৩ ছকে দল সাজিয়েছিলেন। 

ম্যাচের শুরু থেকেই ফরাসি আক্রমণ শুরু হয়। নেদারল্যান্ডস (Netherlands) ক্রমশই খেলা থেকে হারিয়ে যেতে থাকে। ম্যাচের ২ মিনিটের মাথায়, এমবাপের অ্যাসিস্ট থেকে গ্রিজম্যানের গোলে লিড নেয় দিদিয়ের দেঁশর ছেলেরা। আর এই গোলের পরেই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় গোটা দলের। তার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই আবারও ফরাসি ঝড়। ম্যাচের ৮ মিনিটে, উপামেকানোর (Dayot Upamecano) গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম কোয়ার্টারেই এগিয়ে যাওয়া, যেকোনো দলের কাছেই বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জায়গা। আর সেই জায়গা থেকেই ম্যাচের ২১ মিনিটে ফের গোল ফ্রান্সের। আর এবার অধিনায়ক স্বয়ং। মাঝমাঠের খেলোয়াড় চৌয়ামেনির বাড়ানো বল থেকে দুরন্ত গোল এমবাপের (Kylian Mbappe) এবং ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০। প্রথমার্ধ শেষ হয় এই ফলাফল নিয়েই। 

Advertisement

দ্বিতীয়ার্ধে নেদারল্যান্ডস ফিরে আসার চেষ্টা করেও পারেনি। তবে কিছুটা ফিজিক্যাল ফুটবলও হয়েছে এই ম্যাচে। ফ্রান্সের তিনজন ডিফেন্ডার কোনাতে (Konate), উপামেকানো এবং হারনান্দেজ (T.Hernandez) তিনজনই হলুদ কার্ড দেখেন। অরেঞ্জ আর্মির নির্ভরযোগ্য ফুটবলার গিরট্রুইডা (L.Geertruida) হলুদ কার্ড দেখেন। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আক্রমণভাগে রদবদল করে। ফ্রান্সের জিরৌডের (Oliver Giroud) বদলে মাঠে আসেন মুয়ানি (R. Kolo. Muani) এবং গ্রিজম্যানের (Antoine Griezmann) বদলে নামেন ফোফানা (Youssouf Fofana)। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের ক্লাসেন (D. Klaassen) ও মালেনের (D. Malen) বদলে মাঠে আসেন সিমন্স (X. Simons) এবং বারঘুইস (S. Berghuis)। তবে মাঝমাঠের দখল পুরোটাই ছিল ফ্রান্সের হাতে। ডিফেন্সিভ থার্ডেই নেদারল্যান্ডসের বেশিরভাগ আক্রমণ আটকে দিতে সক্ষম হয়েছিল ফরাসি ব্রিগেড। ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে, ৮৮ মিনিটে আবারও গোল এমবাপের। এই গোলের সুবাদেই নেদারল্যান্ডসের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন অধিনায়ক। ম্যাচের একদম শেষমুহূর্তে, ৯৪ মিনিটের মাথায় ফরাসি ডিফেন্ডার উপামেকানোর হ্যান্ডবলের জেরে পেনাল্টি পায় নেদারল্যান্ডস। কিন্তু মেম্ফসিস (Memphis Depay) ডিপের পেনাল্টি, শরীর ছুঁড়ে সেভ করেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক ম্যাইগন্যান (Mike Maignan)। 

প্রায় ৫৯% বল পজিশন নিয়ে, নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে ফ্রান্সের জয়। প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েই পয়েন্ট টেবিলের একদম ওপরে রয়েছে ফ্রান্স। 

Advertisement