বিদায় লৌহমানবী
বিদায় অলিম্পিক। বিদায় মেরি কম। সেই সঙ্গেই পরিসমাপ্তি ভারতীয় বক্সিংয়ের এক বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায়ের। টোকিও অলিম্পিকে কলম্বিয়ার বক্সারকে জয়ী ঘোষণা করতেই অলিম্পিকে ইতিহাস হয়ে গেলেন ভারতীয় বক্সার।
মেরির চোখে জল, কাঁদল ভারতবাসী
বিপক্ষকে যখন জয়ী বলে ঘোষণা করছেন রেফারি, তখন মেরি কমের মুখে হাসি-চোখে জল। যা টিভির পর্দায় চোখ রাখা কোটি কোটি ভারতীয়র হৃদয় ভেঙে খানখান করে দিয়েছে। অলিম্পিকের আসর তো বটেই, হয়তো সার্কিটে আর দেখা যাবে না ৩৮ বছর বয়সী অলিম্পিয়ানকে। ফলে পদক জিতে বিদায় বেলায় শেষ করলে তা আরও ভাল হত।
অলিম্পিকের সম্পর্কিত ক্যুইজের জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
হতাশ কোটি কোটি ভারতবাসী
হেরে গেলেন মেরি কম। এই হার, আর সেই সঙ্গেই অলিম্পিকে ভারতের হয়ে তাঁর বক্সিং এ পদক জয়ের আশা শেষ। মেরি কমের উপর্যুপরি দুটি অলিম্পিকে পদক জয়ের আশা শেষ হয়ে গেল। সেই সঙ্গে হতাশ কোটি কোটি ভারতবাসী ৫১ কেজি বিভাগে বৃহস্পতিবার মেরি কম ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী ইনগ্রিট ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ২-৩ ফলে হেরে গেলেন।
শেষ অলিম্পিক
বহুবারের এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন এবং ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক পদকজয়ী মেরি কম হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নিজের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমতা প্রয়োগ করেও পদকর তালা খুলতে পারলেন না। ৩৮ বছর বয়সী অলিম্পিয়াডের এটাই শেষ অলিম্পিক লড়াই। তাই হতাশায় ভেঙে পড়েছেন মেরি কম। সেই সঙ্গে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের মানুষের মধ্যেও।
কঠিন লড়াই হয় দুজনের মধ্যে
রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে ভ্যালেন্সিয়ার হাত উপরে তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরি কমের চোখে নেমে আসে অঝোর ধারায় জল। যেভাবে ভ্যালেন্সিয়া প্রথম ঘন্টা পড়ার পর দৌড়েছিল, তখনই মনে হয়েছিল এই লড়াই কঠিন হতে চলেছে এবং এমনই হয়েছে। শুরু থেকেই দুজন একজন আরেকজনকে পাঞ্চ, আপার কাট, লাগাতার চালিয়ে যায়।
প্রথম রাউন্ডে পিছিয়ে পড়াই কাল হল
ভ্যালেন্সিয়াক প্রথম রাউন্ডে ৪-১ এ এগিয়ে যায়। মণিপুরের বক্সার মেরি কম দুর্দান্ত ফর্মে ফিরে এসে ৩-২ এ দ্বিতীয় সেট নিজের নামে করে নেন। প্রথম রাউন্ডে বড় ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার ফলে ভ্যালেন্সিয়ার শেষ মেষ পদক জয়ে ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যায়। ভারতীয় বক্সার মেরি কম তৃতীয় রাউন্ড এ ডান হুক খুব ভালো ব্যবহার করেছেন।
মেরিকে প্রথম হারালেন ভ্য়ালেন্সিয়া
মেরি কম ২০১৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফাইনালে এর আগে ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়েছেন। কলম্বিয়ার এই বক্সার প্রথমবার মেরি কমকে হারাতে সক্ষম হলেন। মেরি কম এর মত ৩২ বছর বয়সী ভ্যালেন্সিয়া নিজের দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তিনি কলম্বিয়ার হয়ে প্রথম মহিলা বক্সার যিনি দেশের হয়ে অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করলেন এবং প্রথম বক্সার হিসেবে দেশের জন্য পদক জয় করলেন।