FIFA World Cup 2022: সুইৎজারল্যান্ড বরাবরই ব্রাজিলের (Brazil) শক্ত গাঁট। নেইমারের অনুপস্থিতিতে সেটা আরও একবার প্রমাণিত হতে চলেছিল। তবে শেষ মুহূর্তে গোল করে তা হতে দিলেন না ক্যাসেমিরো (Casemiro)। একেবারে নেতার মত সঠিক সময় গোল করে দলকে পরের রাউন্ডে নিয়ে গেলেন এবারের বিশ্বকাপের নক আউটে।
বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন
বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ে টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত থেকে নজির গড়ল ব্রাজিল। সুইসদের ১-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলতে ব্রাজিল। ৮৩ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। গোলের পাসটা বাড়ালেন সেই রড্রিগো (Rodrygo)। সেখান থেকে চেটো দিয়ে বল গোলে রাখেন ক্যাসেমিরো।
নেইমার (Neymar) চোটের কারণে নেই। মহাতারকার নির্ভরতা সরিয়ে জয় কঠিন হবে না আগেই বলেছিলেন কোচ তিতে। কিন্তু প্রতিপক্ষ যদি নয় থেকে দশ জনে মিলে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে তবে ফুটবলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। সমস্যা বাড়তে থাকে। প্রথম ম্যাচে রিচার্লসন জোড়া গোল করে নায়ক। সুইৎজারল্যান্ড ডিফেন্ডাররা কড়া জোনাল মার্কিংয়ে তাঁকে একেবারে নড়তেই দিলেন না। একই ভাবে আটকে পড়ছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়রও। ফলে সুইস রক্ষন ভাঙা কঠিন হয়ে পড়েছিল। সুইস কোচ মুরাত ইয়াকিন প্রতিআক্রমনে ছক সাজিয়েছিলেন। কিন্তু ব্রাজিল আক্রমনের তোড়ে তা সেভাবে সমস্যা হয়নি।
আরও পড়ুন: ব্রাজিল-সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচের মাঝেই বিপত্তি, নিভল আলো
১৮ মিনিটে প্রথম গোল নষ্ট রিচার্লিসনের। পাকেতার ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারলে বিশ্বকাপে তিন নম্বর গোলটি করে ফেলতে পারতেন। ২৬ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়র গোলরক্ষক ইয়ান সোমারকে একা পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন। এরপর রাফিনহোর শট সুইস গোরক্ষকের হাতে প্রতিহত হয়। বিরতির আগে প্রতি আক্রমনে বেশ কয়েকবার সুইৎজারল্যান্ড আক্রমণে উঠে আসলেও গোল খেতে হয়নি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের।
আরও পড়ুন: শেষ ১৬-তে ফ্রান্সের, পরের রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিত রোনাল্ডো-মেসিদের?
দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচটি বদল করেন তিতে। ৫৬ মিনিটে ফের সুযোগ নষ্ট করে ব্রাজিল। আবারও মিস রিচার্লসনের। শুধুমাত্র রক্ষণ সামলে ব্রাজিলকে আটকানো সম্ভব নয়, বুঝেই প্রতি আক্রমণ করতে থাকে সুইসরা। কিন্তু তা সেলেকাওদের রক্ষণকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারেনি।
৬৪ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়র গোল করলেও তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। ভার দেখে গোল বাতিল করেন রেফারি। রিচার্লসন অফসাইডে থাকায় ভিনিসিয়াসের গোল বাতিল হয়ে যায়।
তবে গোল করে নেতার মত দলকে এগিয়ে দিলেন ক্যাসেমিরো। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সুইৎজারল্যান্ড। বরং নিজেদের গোল রক্ষা করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা।