দুরন্ত লিভাকোভিচ (Dominik Livakovic)। একাই প্রায় আটকে দিলেন ব্রাজিলকে (Brazil)। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল হাঁসফাঁস করতে থাকল ক্রোয়েশিয়ার (Brazil vs Croatia) বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত সময় গোল করার পরেও সেই গোল ধরে রাখতে পারল না তারা। টাইব্রেকারে আবারও দুর্ভেদ্য হয়ে উঠলেন লিভাকোভিচ। দারুণ সেভ করে ক্রোয়েশিয়ার নায়ক হয়ে উঠলেন তিনি। ৪-২ গোলে জিতে সেমি ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া।
ফুটবল বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য় এখানে ক্লিক করুন
প্রথমার্ধের ম্যাচ শেষে গোল আসেনি। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে দুই দলই গোল করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। তবে গোল পায়নি কোনও দল। একটা ক্ষেত্রে ভিনিশিয়াস জুনিয়র ভাল সুযোগ পেয়ে গেলেও গোল করতে পারেননি। সুযোগ এসে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়ার সামনেও। তারাও গোল করতে পারেনি। মূলত মিডফিল্ডেই খেলা চলছে। আক্রমণের ধার ব্রজিলের বেশি থাকলেও ছেড়ে কথা বলছে না গতবারের রানার্সরা।
দ্বিতীয়ার্ধেও টানটান উত্তেজনায় ম্যাচ গড়াতে থাকে। তবুও গোল করতে পারেনি কোনও দলই। মাঝমাঠ থেকে খেলা শুরু করেছিলেন নেইমারই (Neymar)। প্রথমে পাস খেলেন পেদ্রোর সঙ্গে। সেখান থেকে নেইমার বল ওয়াল খেলেন পাকেতার সঙ্গে। পাকেতার থেকে পাস পেয়ে গোলকিপার লিভাকোভিচকে এক টোকায় কাটিয়ে বল জালে জড়ান নেইমার। ১১৭ মিনিটে সেই গোল পরিশোধ করে দেয় ক্রোয়েশিয়া। প্রতি আক্রমণে উঠে এসে গোল করে যান ব্রুনো পেটকোভিচ। পরিবর্ত হিসেবে পরে নামেন তিনি।
তবে টাইব্রেকারে ব্রাজিলের রণকৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। প্রথম পাঁচ পেনাল্টি টেকারের মধ্যে নেইমারের নাম না থাকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। দারুণ ছন্দে খেলতে থাকা ব্রাজিল, গোল পেতেই এমন রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা কেন শুরু করে দিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। আসলে ২০ বছর পর বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন নিয়ে খেলতে আসে ব্রাজিল। তবে সেমি ফাইনালের আগেই তাদের বিদায় হয়ে যাওয়ায় হতাশ লক্ষ লক্ষ সমর্থকরা।