২১ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রড্রিগোর (Rodrygo) সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন ব্রাজিলের আরেক কিংবদন্তি রোনাল্ডো নাজারিও। ইতিমধ্যেই প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শেষ ষোলতে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলেছে ব্রাজিল। শেষ ম্যাচে সুইৎজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। সেই ম্যাচের পরেই রড্রিগোর সাক্ষাৎকার নেন ২০০২ সালের বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন
গল্পের ছলে নেওয়া সাক্ষাৎকারের শেষে ছোটবেলার তারকাকে হাতের সামনে পেয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তরুণ স্ট্রাইকার। রোনাল্ডোর পা ছুঁয়ে প্রণাম করার পাশাপাশি তাঁর পায়ে হাত বুলিয়ে নিজের পায়ে সেই হাত রাখেন রড্রিগো।
আরও পড়ুন: নেইমাররা চ্যাম্পিয়ন হলে নগ্ন হবেন এই ব্রাজিলিয়ান মডেল, তবে...
পায়ের জাধু খুব বেশি দেখাতে না পারলেও তাঁর পাসেই দু'বার গোলের ঠিকানা খুঁজে পায় ব্রাজিল। একবার সেই গোল বাতিল হলেও দ্বিতীয়বার গোল পায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ২০ বছর পর আবার কি ইতিহাস হবে? হেক্সা করতে পারবেন নেইমাররা? এটা সময় বলবে। তবে ব্রাজিলে ফুটবলারদের সম্মান যে কতখানি তার প্রমাণ মিলল আরও একবার। এই মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কাতারে এ দিনের ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন প্রাক্তন তারকারা। আর সেই দেখেই নস্ট্যালজিয়ায় ডুবেছেন ব্রাজিল সমর্থকরা।
কারা উপস্থিত ছিলেন?
সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ দেখতে কাতারের স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ গিয়েছিলেন রোনাল্ডো নাজারিও (Ronaldo Nazario), কাকা (Kaka), কাফু (Kafu), রবার্তো কার্লোসরা (Roberto Carlos)। এই মুহূর্ত তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন টেলিভিশনের পর্দায় ম্যাচ দেখা দর্শকরা। ব্রাজিল সমর্থকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এই কিংবদন্তি ফুটবলারদের নিয়ে।
আরও পড়ুন: স্টেডিয়ামে যখন রোনাল্ডো-কাফু-কার্লোস-কাকা, ব্রাজিল ম্যাচে যে ছবি VIRAL
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে দুই গোল করে নায়ক হলেও রিচার্লিসন এ দিন স্বাভাবিক ছন্দে ছিলেন না। নেইমারের অভাবও বারেবারে বোঝা গিয়েছে। ৭৩ মিনিটে গত ম্যাচের নায়ককে তুলে নিয়ে গ্যাব্রিয়াল জেসুসকে মাঠে নামান তিতে। অ্যান্টনিকে আনেন রাফিনহার জায়গায়। মাঠে নিয়ে আসা হয় রড্রিগোকেও। এরপরেই চাপ বাড়াতে থাকে ব্রাজিল। ৮৩ মিনিটে এই পরিবর্তনের ফসল তোলে তিতের ব্রাজিল। রড্রিগোর পাস থেকে দারুণ আউটস্টেপ ভলিতে গোল করেন ক্যাসেমিরো। মাঠে থাকা দর্শকরা তো বটেই, আনন্দে সেলিব্রেশন করেন ব্রাজিলের কিংবদন্তিরাও।
গোল পাওয়ার পরেই চেনা ছন্দে নিজেদের মেলে ধরে ব্রাজিল। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে তারা। ইনজুরি টাইমে রড্রিগোর শট বাঁচান অ্যাকেঞ্জি।