ফুটবল খেলেই পেয়েছেন পরিচিতি। আর সেই ফুটবলকেই কিছু ফিরিয়ে দিতে চান বাংলার প্রাক্তন তারকারা। সেই লক্ষ্যেই আবারও এক ছাতার তলায় বাংলার বুটবলাররা। প্রাক্তন থেকে বর্তমান, চল্লিশ জন ফুটবলারের সংগঠন ‘প্লেয়ার্স ফর হিউম্যানিটি’ এবার কলকাতা লিগের সেরাদের পুরস্কার দেবে। কলকাতা লিগই বাংলার ফুটবলারদের উঠে আসার মঞ্চ। আর সেই মঞ্চে সেরাদের আরও উৎসাহ দিতে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন মেহেতাব-নবিরা।
কাদের পুরস্কার দেওয়া হবে?
সামাজিক কাজের পাশে ফুটবল ব্রাত্য নয়। কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের সেরা কোচ, সেরা ফুটবলার, ইমার্জিং ফুটবলারকে আর্থিকভাবে পুরষ্কৃত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দীপক মণ্ডল। অর্জুন পুরষ্কার প্রাপ্ত দীপক বলছেন নতুন প্রতিভার অন্বেষন তাদের এগিয়ে দিতে আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ইতিমধ্যে ওয়েব সাইট খুলেছেন। এবং সেখানে ফোন নাম্বার দেওয়া রয়েছে। যাতে দরকারে সমস্যায় থাকা ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষরা যোগাযোগ করতে পারে। ফুটবল খেলেই দায় শেষ করা নয় ফুটবলকে ভিত্তি করে সামাজিক দায়িত্ব বহনে অঙ্গীকার দেশের কিংবদন্তীদের।
২০১৭ সাল থেকে কিছুটা অবিন্যস্তভাবে এই পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছিলেন ডেনসন দেবদাস, দীপক মণ্ডল, মেহতাব হোসেন, অভিজিৎ মণ্ডলরা। প্রয়াত ফুটবলার ধনরাজনের পাশে দাঁড়াতেই প্রাথমিক ভাবে তৈরি হয়েছিল এই সংগঠন। তাঁর পরিবারের আর্থিক দায় মেটানোর চেষ্টা যেমন ছিল, ঠিক তেমনি ছিল, আম্ফানের সময় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে দুঃস্থ অসহায়দের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানো। ভেঙে পড়া বাড়িও সারিয়ে দিয়েছিল এই সংগঠন। করোনার অতিমারির সময়ও বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ নিয়েছেন এই ফুটবলাররা।
এই কয়েকটি কাজের মধ্যে থেমে যাওয়া নয় বিপন্ন ফুটবলারের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর সন্তানকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টাও করে চলেছেন সুব্রত পাল দীপঙ্কর রায়, অর্নব মণ্ডলরা। এবার সেই উদ্যোগে গতি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন ওরা। “আমরা ফুটবল থেকে পেয়েছি অনেক। ফুটবলের জন্যই সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছি। এবার ফিরিয়ে দিতে চাই। সামাজিক কাজ করতে গিয়ে যে ছবি দেখেছি তা হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। সমাজের প্রয়োজনে দাঁড়ানোর তাগিদ অনুভব করেছি। তাই প্লেয়ার্স ফর হিউম্যানিটি সমাজকে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ। যেখানে পুরোটাই দায়বদ্ধতা,” বলছিলেন মেহেতাব হোসেন। তাঁর কথার সুর টেনে রহিম নবি বলেছেন,“বহু ফুটবলার রয়েছে যারা অর্থের অভাবে চোটের অপারেশন করতে পারছে না। কোনও কোচ অর্থের অভাবে কোচিং ডিগ্রী নিতে পারছেন না। রেফারিরাও আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। তাদের সাহায্য করব আমরা।”