ঐতিহাসিক টেস্ট জয় ভারতের। সেঞ্চুরিয়ানে ১১৩ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালো ভারত। সেই সঙ্গে টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল। এখন লক্ষ্য প্রথমবার প্রোটিয়াদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়। সিরিজ জিততে এখনও পর্যন্ত এটাই সেরা সুযোগ। ঘরোয়া দলটি ঘরের মাটিতে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করবে এটা ঠিক। তবে তাদের দুর্বল ব্যাটিং লাইন আপের পক্ষে ভারতীয় বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে লড়াই ফিরিয়ে দেওয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জ।
ভারতীয় বোলারদের সামনে আত্মসমর্পন
সেঞ্চুরিয়ানে ভারতীয় দলের বোলিংয়ের সামনেই কার্যত মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি প্রোটিয়াবাহিনী। ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে কেএল রাহুলের সেঞ্চুরি বাদ দিলে দুদলই কার্যত একই রকম দিশাহারা দেখিয়েছে। তার মধ্যেই কিছুটা আজিঙ্কা রাহানে, ময়াঙ্ক আগরওয়াল, বিরাট কোহলি, টেম্বা বাভুমা কিংবা ডিন এলগাররা ভাল শুরু করেছিল। কিন্তু শেষমেষ তা উল্লেখযোগ্য রানে পরিণত হতে পারেনি।
ডোনাল্ড-পোলকদের দেশে ভেল্কি সামি-বুমরা-সিরাজের
তবে পিচের অসমান বাউন্স যা দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠের বৈশিষ্ট্য, তা অনেকটাই ব্যাটারদের অস্বস্তিতে রেখেছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারতীয় পেসাররা। পেস বোলারদের স্বর্গরাজ্যে এর আগে শন পোলক, অ্যালান ডোনাল্ড, মাখায়া এনটিনি, ব্রায়ান ম্যাকমিলান, ল্যান্স ক্লুসনার, ফ্যানি ডেভিলিয়ার্সদের মতো পেসারদের সামনে খাবি খেত ভারতীয় ব্য়াটাররা। সেখানে ভারতীয় পেস ব্যাটারির নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসনে ঝলসে যাচ্ছে খোদ ঘরোয়া দলটি। এ দৃশ্য ভারতবাসীর বহুদিনের স্বপ্ন।
কেএল রাহুলের শতরানই পার্থক্য গড়ে দেয়
প্রথম ইনিংসে কেএল রাহুলের শতরানের উপর ভর করে ভারতীয় দল ৩২৭ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় পেসারদের সামনে গুটিয়ে যায় ১৯৭ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। বিশেষ করে মহম্মদ শামির লেট সুইংয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। ৩৪/৫ উইকেট নেন শামি। তাকে যোগ্য সঙ্গত করেন মহম্মদ সিরাজ ও জসপ্রীত বুমরা। ভাল বল করেন শার্দুল ঠাকুরও। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয দল ১৭৪ রানে গুটিয়ে গেলেও প্রথম ইনিংসের বড় লিডের কারণে স্বস্তিদায়ক জায়গায় থাকে ভারত। ফলে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩০০-এর বেশি রান করতে হতো। যা সম্ভব হয়নি।
লক্ষ্য় এখন সিরিজ জয়
দ্বিতীয় ইনিংসেও শামি, সিরাজ ও বুমরার দাপটে কখনও মাথা তুলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। তার মধ্যে ডিন এলগার অর্ধশতরান করেন ও টেম্বা বাভুমা মোটামুটি লড়াই চালান। যদিও তা যথেষ্ট ছিল না। লাঞ্চের সময় ১৮২ রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিরতিতে যায় প্রোটিয়ারা। বিরতির পর মাত্র কয়েক মিনিটেই দ্রুত গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। শেষ দুটি উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এবার ভারতের লক্ষ্য প্রথমবার স্প্রিংবকদের দেশে সিরিজ জয়। এর আগের সফরে ম্যাচ জিতলেও সিরিজ জয় অধরা ছিল। এবার তা সুদে আসলে মিটিয়ে নিতে চাইবে বিরাট অ্যান্ড কোম্পানি।