কেপটাউনে ভারতীয় বোলারদের দাপট। একাই ছয় উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ৫৫ রানেই শেষ। একাই ৬ উইকেট তুলে নিলেন মহম্মদ সিরাজ। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে প্রোটিয়াদের চাপে ফেলে দেন ভারতের বোলাররা। বাংলার মুকেশ কুমারও নেন ২ উইকেট। দুই উইকেট জসপ্রীত বুমরার।
এই নিয়ে পাঁচ বার টেস্টে এক ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট তুলে নিলেন সিরাজ। দিনের শুরু থেকেই উইকেট নিতে থাকে ভারত। ম্যাচে ৯ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন সিরাজ। তিনি এইডেন মার্করাম, ডিন এলগার, টনি ডি জর্জি, ডেভিড বেডিংহাম, কাইল ভার্গেন এবং মার্কো জানসেনকে আউট করেন। ১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ৩৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত ৫৫ রানে গুটিয়ে যায় আফ্রিকার পুরো ইনিংস। ঘরের দলের হয়ে ভারিয়ানে ১৫ রান এবং বেডিংহাম ১২ রান করেন। এছাড়া কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
টেস্ট ইতিহাসে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে আফ্রিকা দলের এটি সবচেয়ে অল্প স্কোর। এর আগে, ২০১৫ সালের নভেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কম স্কোর করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর নাগপুর টেস্টে আফ্রিকান দল গুটিয়ে যায় ৭৯ রানে। সেই ম্যাচে স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন।
টিম ইন্ডিয়া প্লেয়িং ইলেভেন: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), রবীন্দ্র জাদেজা, জাসপ্রিত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ কৃষ্ণ, মুকেশ কুমার।
ঘরের মাঠেও ভারতের বিরুদ্ধে এটি দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সবচেয়ে কম স্কোর। এর আগে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা সবচেয়ে কম রান করেছিল। এরপর জোহানেসবার্গে ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা দল। সেই ম্যাচে ফাস্ট বোলার এস শ্রীশান্ত প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ একাদশ: ডিন এলগার (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টান স্টাবস, ডেভিড বেডিংহাম, কাইল ভেরি (উইকেটরক্ষক), মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, নান্দ্রে বার্গার, লুঙ্গি এনগিড়ি।