মানডোলি কারাগারে বন্দী সুশীল কুমার এবার চিন্তিত হয়ে পড়লেন তাঁর খাওয়ার নিয়ে। কারাগারের খাবার খেয়ে কুস্তিগীর সুশীল কুমারের পেট ভরছে না বলেই খবর জেল সূত্রে। কারাগারে, তিনি আটটি রুটি, দু কাপ চা এবং চারটি বিস্কুট পান তিনি, একই সঙ্গে কিছু ডাল এবং শাকসব্জী তাঁকে দেওয়া হয়। তবে সুশীল নিজের জন্য এটিকে কম বলে মনে করছেন।
সাগর হত্যা মামলার অন্যতম একজন অভিযুক্ত কুস্তিগীর সুশীল কুমার জেলের খাবারে বেশ কিছু অভাব পাচ্ছেন। তিনি এই বিষয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। শুনানি শেষে দিল্লির একটি আদালত তার আদেশ সংরক্ষণ করেছেন। ঠিক পরিমাণে উচ্চ প্রোটিন এবং ডায়েটরি পরিপূরক খাবার দাবি করা হয়েছে সুনীলের তরফে। আগামীকাল (বুধবার) আদালত এ বিষয়ে শুনানি দেবে।
রেসলার সুশীল বলেছেন যে তাঁর পেট ভরছে না। ও অন্যান্য বন্দীদের মতো এই ডায়েট দিয়ে সেটা নাকি পূর্ণ করা যাবে না। তাদের বেশি খাওয়ার পাশাপাশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের প্রয়োজন। এজন্য তিনি কারা প্রশাসনের কাছে আবেদনও করেছিলেন। বিশ্বাস করা হয়েছিল যে তিনি তার খাদ্যের চাহিদা সম্পর্কে আদালতে আবেদন করতে পারবেন।
মঙ্গলবারও একই ঘটনা ঘটেছিল। সুশীল কুমার এই বিষয়ে আদালতে যান। তিনি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন। এই মুহূর্তে আদালত বুধবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও আদালত তার আবেদনে সবুজ সংকেত দেবে কী না সেই নিয়ে আছে জল্পনা। যদি আদালত সেই বিষয়ে হ্যাঁ করে দেয় তবেই তাঁর ডায়েটে কেবল কোনও পরিবর্তন আনা যেতে পারে, অন্যথায় তিনি বাকী বন্দীদের মতো একই খাবার পেয়ে থাকবেন।
৪ ও ৫ মে রাতে আদালত ছাত্রলীগে সুশীল কুমারকে ছাত্রলীগ স্টেডিয়ামে ২৩ বছর বয়সী সাগর রানা হত্যার মামলায় ৯ দিনের জন্য বিচারিক হেফাজতে রাখা হয়েছিল। সুশীলকে বেশ কিছুদিন ধরেই খুঁজছিলো পুলিশ। সুশীলকে না পাওয়ায় নগদ পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। অবশেষে তাঁকে পাওয়া গিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সময় ছিলেন সুশীল কুমার। এই বিষয়ে পুলিশের কাছে স্বীকারক্তি দিয়েছেন অলিম্পিকে পদক জয়ী এই কুস্তিগির।