নিজেদের ঘরের মাঠে মরণ বাঁচন ম্যাচে খেলতে নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ম্যাচ গুজরাতের বিরুদ্ধে খেলতে হলেও, বিরাটদের আসল লড়াই ছিল রোহিতদের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। প্লে অফে যেতে হলে মুম্বইকে টপকাতে হবে ডু প্লেসিদের। এমন অবস্থায় হেরে পেল ব্যাঙ্গালোর।
মুম্বইকে টপকে প্লে অফে যেতে পারল না আরসিবি। এই ম্যাচের আগে অঙ্ক খুব সহজ ছিল, আরসিবি জিতলে তারা যাবে শেষ চারে। আর বিরাটরা হারলে প্লে অফে যাবেন রোহিতরা। এমন ম্যাচে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ফাফ ডু প্লেসি। দারুণ শতরান করেন বিরাট কোহলি। এদিন প্রায় একার কাঁধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সেরর রান দুশোর কাছে পৌঁছে দিলেন একদিকে ধরে রেখে। বিরাটের কাঁধে ভর দিয়ে আরসিবি (RCB) ১৯৭ রানে পৌঁছয়। তবুও শেষরক্ষা হল না।
আরও পড়ুন: KKR ম্যাচে ইডেনে ঢুকতে বাধা, ক্ষুব্ধ সবুজ-মেরুণ সমর্থকরা
বিরাটের সেঞ্চুরি
আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন। তার আগেও একাধিক অর্ধশতরান আবারও দুর্দান্ত শতরান করে রেকর্ড গড়লেন বিরাট কোহলি। আইপিএল-এ সপ্তম সেঞ্চুরি করে ফেললেন কিং কোহলি। দারুণ ব্যাটিং করে আরসিবি-র রান পৌঁছে দিলেন ১৯৭ তে। আইপিএল-এর প্লে অফে জিততে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে আরসিবিকে। তাহলেই তারা পৌঁছে যাবে প্লেঅফে। ছিটকে যাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এদিন অবশ্য আগের ম্যাচে মুম্বইও ভাল জয় পেয়েছে। সেখানে সেঞ্চুরি করেন ক্যামেরন গ্রিন। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই লাইমলাইট কেড়ে নেন কিং কোহলি।
আরও পড়ুন: KKR-র উপর রেগে লাল মোহনবাগান, দিল কড়া বিবৃতি
এদিন ১৩ টা চার আর ১ টা ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস। বিরাটের সঙ্গে শুরুতে ফাফ ডুপ্লেসি আর শেষদিকে দারুণ সঙ্গত দেন অনুজ রওয়াত। ছোট ইনিংসে ভাল শুরু করেও আউট হয়ে যান ম্যাক্সওয়েলও। অনুজ ১৫ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। শুরুতে ফাফ ডু প্লেসি ১৯ বলে ২৮ রান করে আউট হওয়ার পরে ব্যর্থ হন ম্যাক্সওয়েল। মাত্র পাঁচ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। এরপর মহিপাল লোমরোরও রাম পাননি। আবারও ব্যর্থ হয়েছেন দীনেশ কার্তিক। প্রথম বলেই আউট হন তিনি। যদিও ১৬ বলে ২৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন মাইকেল ব্রেসওয়েল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় গুজরাত। আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা। যদিও দারুণ ব্যাট করেন শুভমন গিল। বিজয় শঙ্করও তাঁর সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন। ৩৫ বলে ৫৩ রান করে আউট হন তিনি।