মীরাবাই চনু এবার যোগ দিলেন Sitaron Ka samman অনুষ্ঠানে। ওয়েটলিফ্টিংয়ে টোকিও অলিম্পিকে রুপো জয়ী অ্যাথলিট মীরবাই চনু। তিনি বললেন, ''এই যাত্রা আমার জন্য ভালো ছিল। শুরুতে কঠিন ছিল। আমি টোকিও অলিম্পিকে ৫ বছর কাজ করেছি। রিও অলিম্পিকে ব্যর্থ হওয়ার পর, আমি ভেবেছিলাম টোকিও অলিম্পিকে পদক জেতা কঠিন হবে, তবে একটা জেদ ছিল স্বপ্ন ছিল।''
মীরবাই এই অনুষ্ঠানে এসে নিজের স্ট্রাগলের কথা জানান। শুধু তাই নয় নিজের কেরিয়ারের প্রথমে বেশ কঠিন সময় পার করে এসেছেন মীরবাই। তিনি আরও বলেন, ''কেরিয়ারের শুরুতে অনেক ঝামেলা ছিল। প্রশিক্ষণের জন্য ট্রাকে লিফট নিতে হয়েছিল। মীরাবাই বলেছিলেন যে প্রশিক্ষণের জন্য উত্সাহ ছিল এবং এর কারণে কোনও ভয় ছিল না। আমি প্রশিক্ষণ মিস করতে চাইনি। শুরুতে পরিবারের সদস্যরাও ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু পরে মা ট্রাকচালককেও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে এটির যত্ন নিন। পরে একই ট্রাক চালক বাড়ির সামনে অপেক্ষা করতেন। আমি মানুষের কাছ থেকে অনেক সমর্থন পেয়েছি।''
মায়ের সাপোর্ট
ডায়েট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মীরাবাই চনু বলেন যে, ''যখন আমি এই গেমটি শুরু করি তখন খুব কঠিন ছিল। মায়ের চায়ের দোকান ছিল। আমি উচ্চ পরিবার থেকে আসি না। ডিম দুধ খেতাম। কিন্তু এমনকি এটি প্রতিদিন পাওয়া যায়নি। সপ্তাহে মাত্র দুই-তিন দিন সেটা দেওয়ার জন্য মায়ের কাছে টাকা ছিল। তারপরও তিনি অনেক সমর্থন করেছেন।''
একই সঙ্গে মীরবাই চনুর মা তাঁকে খুবই সাহায্য করতেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ''তিনি আমাকে বলেছিলেন যে যাই হোক না কেন, আমি তোমার সাথে আছি। আমার পরিবারের লোকেরা খেলাধুলা পছন্দ করে। মা ফুটবল খেলতেন।'' মীরাবাই বলেছিলেন যে আমার পরিবার আমাকে সমর্থন করেছিল। তিনি আরও বলেন, ''পদক জেতার পর প্রথমে মাকে ফোন করলাম। পুরো গ্রাম তখন আমার বাড়িতে ছিল।''
সামলান খানের ভক্ত মীরবাই
মীরাবাই চনু নিজের পছন্দ সম্পর্কে কথা বললেন Jai Ho Sitaron Ka Samman অনুষ্ঠানে। তবে তিনি এখন শুধুমাত্র প্রশিক্ষণে মনযোগ দিতে চান। তিনি বলেন, ''আমি প্রশিক্ষণে বেশি মনোযোগ দিই। আমি পিৎজা ভালোবাসি। তবুও সেটা কম খাই। আমি সালমান খানের ভক্ত। আমি তার সাথে দেখা করার পর কান্না শুরু করেছিলাম। স্যারের সঙ্গে দেখা করে ভালো লেগেছে। তিনি আমাকে আরও ভালো করে অনুশীলন করার জন্য বলেছেন।''
ভারতের হয়ে রুপোর পদক জয়ী। ভারোত্তোলোনে মহিলা অ্যাথলিট মীরাবাই চনু বলেন, ''আমি মেয়েদর কাছে বলতে চাই সংসার করা পরিবার দেখা সেটা অবশ্যই করুন, কিন্তু খেলাধুলোতেও এগিয়ে আসুন আপনারা। আপনাদের আমার পাশে দরকার। ওয়েটলিফ্টিংয়েও যোগ দিন ও অ্যাথলিট হয়ে উঠুন। দেশের প্রতি কর্তব্য করুন।''