আরও চাপে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। রবিবার লখনউ সুপার জায়েন্টসকে(LSG) হারিয়ে শ্রেয়াস আইয়ারদের (Shreyash Iyer) চাপ আরও বাড়িয়ে দিল রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals)। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফে যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেললেন সঞ্জু স্যামসনরা। ফলে কলকাতার হাতে পড়ে রইল শুধু চতুর্থ স্থান। কারণ আন্দ্রে রাসেলরা কখনই ১৬ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবেন না।
সমস্যা আরও থাকছে। বুধবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলবে কেকেআর। ১২ পয়েন্ট পাওয়া কলকাতা এই ম্যাচে জিতলে পৌঁছবে ১৪-তে। সোমবারই আবার দিল্লি ক্যাপিটালস (DC) খেলতে নামছে পঞ্জাবের (PBKS) বিরুদ্ধে। তাদের দুই দলের পয়েন্টই ১২। হাতে দুটি ম্যাচ। ফলে যে দল আজকের ম্যাচ জিতবে তারা পয়ছে যাবে ১৪ পয়েন্টে। শেষ ম্যাচ জিতলে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে প্লে অফে যাওয়ার সুযোগ থাকবে তাদের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হাতেও থাকছে দুটি ম্যাচ। তারাও ১৪ পয়েন্টে পৌঁছে যেতে পারে। ১৪ পয়েন্টে আগে থেকেই রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্গালোর জিতলে প্লে অফের লড়াই থেকে ছিটকে যাবেন শ্রেয়াসরা। বুধবারের ম্যাচে জিতলেও কোনও লাভ হবে না।
আরও পড়ুন: CSK-কে একাই হারালেন ঋদ্ধিমান, ফের হাফসেঞ্চুরি বঙ্গসন্তানের
আরও পড়ুন: CSK-কে হারাল GT, বিব্রতকর রেকর্ড ধোনিদের
এবারের আইপিএল-এ প্লে অফে যাওয়ার লড়াই যথেষ্ট রোমাঞ্চকর হয়ে উঠেছে। চতুর্থ স্থান পাওয়ার জন্য লড়াই করছে পাঁচ পাঁচটা দল। দিল্লি ক্যাপিটালস, পঞ্জাব কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১০ দলের এই আইপিএল-এ প্রথমবার খেলতে নেমে দারুণ ছন্দে রয়েছে গুজরাত টাইটান্স। ১৩ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে তারা। আগেই প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়াদের। রবিবারও চেন্নাই সুপার কিংসকে সহজেই হারিয়ে দিয়ে ইডেন গার্ডেন্সে খেলার ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলল তারা। শুধু তাই নয়, ফাইনালে যাওয়ার ক্ষেত্রে দুটি সুযোগ থাকবে ঋদ্ধিমান সাহা-মহম্মদ শামিদের সামনে। দুটি ম্যাচের মধ্যে একটিতে জিতলেই আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে (Nadrendra Modi Stadium) খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলবে তারা।