ডার্বি ম্যাচ দেখতে যুবভারতী ভরবে না তা হতেই পারে না। তৃনমূল সমর্থকরাও ডার্বি ম্যাচ মাঠে এসে দেখতে পারবেন। কারণ, সকাল ১১টায় শুরু হবে ব্রিগেড সমাবেশ। আর অন্যদিকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় হবে ডার্বি। আর সেটাই আশা জাগাচ্ছে লাল-হলুদ কর্তাদের। রবিবারই ঘোষণা করা হয়, ১০ মার্চ 'জনগর্জন সভা' হবে। আর ওইদিনই ডার্বি। এবারের আইএসএল-এ প্রথম লেগের ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। এই মরশুমে বারেবারেই টানটান উত্তেজনা দেখা গিয়েছে এই ডার্বি ম্যাচে। ফলে এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ যে চড়তে শুরু করেছে।
এদিকে ৮ কিংবা ৯ মার্চ টিকিট দেওয়া হবে বলে খবর। তাতে হাতে সময় খুব কম থাকবে। এর ফলে টিকিট নিয়ে হাহাকার দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এত কম সময় টিকিট এবং তাও ডার্বির মাত্র একদিন আগে হলে টিকিট সংগ্রহ করা নিয়ে সমস্য়া দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ ওড়িশা এফসির সঙ্গে। এই মুহূর্তের লিগ টেবলের শীর্ষে রয়েছে ওড়িশা এফসি। তার আগে নন্দকুমার প্র্যাকটিস করেননি। প্র্যাকটিসে নামেননি জর্ডন এলসেও। তবে পরের ম্যাচে তিনি খেলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্য়দিকে ব্রিগেড আর একই দিনে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ডার্বি ম্যাচ ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে সমস্য় হতে পারে। তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। যদিও শাসক দলের কোনও প্রতিনিধিই এই ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ। আইএসএলের প্রথম পর্বের ডার্বির পর থেকে মোহনবাগান নিজেদের দারুণভাবে মেলে ধরেছে। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল কিছুটা হলেও সমস্যায় রয়েছে। আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের কোচিংয়ে মোহনবাগান লিগ-শিল্ড জেতার স্বপ্ন দেখছে। ইস্টবেঙ্গল চাইছে প্রথম ছয়ে শেষ করে অন্তত প্লে-অফ নিশ্চিত করতে। তবে ডার্বির আগে মোহনবাগানকে যেখানে খেলতে হবে মাত্র একটা ম্যাচ, সেখানে ইস্টবেঙ্গলকে তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে। যার মধ্যে প্রথম চারে থাকা ওড়িশা এবং গোয়ার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলতে হবে। এই মুহূর্তে মোহনবাগান পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে। ইস্টবেঙ্গল নবম স্থানে।