ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে টিকিটের হাহাকার। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ সমস্ত টিকিট। একে ডার্বি তার উপর আবার ডুরান্ডের ফাইনাল ম্যাচ। টিকিটের চাহিদা যে বেশ বাড়বে তা বোঝাই যাচ্ছিল। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৬০,০০০ টিকিট শেষ হয়ে যাবে? প্রশ্ন তুলেছেন মোহনবাগান কর্তা দেবাশিস দত্ত।
শনিবার গোটা ময়দান চত্বর দখল করে নিয়েছিলেন দুই দলের সমর্থকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই লাইন ক্রমশ বেড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় টিকিট শেষ সে খবর সমর্থকদের দেওয়ার পরেও লাইন লম্বা হয়েছে একটা টিকিটের আশায়। কেউ এসেছেন সুন্দরবন থেকে তো কেউ ডার্বি দেখার জন্য আগের রাতে লাইন দিয়েছেন খন্ডোঘোষ থেকে এসে। টিকিট না পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে থাকে। দুই দলের সমর্থকরা রীতিমত রাস্তায় নেমে আসেন। একসঙ্গে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অবরুদ্ধ হয়ে যায় ইডেনের সামনের রাস্তা। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মোহনবাগান সচিব। ডার্বির আগের দিন ডুরান্ড আয়োজকদের কাছে টিকিটের হিসাব দাবি করলেন দেবাশিস।
মোহনবাগান কর্তা বলেন, আর্মি কত টিকিট ছাপিয়েছে, কত বিক্রি করেছে আর কত ক্লাবগুলোকে দিয়েছে, কত সরকারকে দিয়েছে তাদের এটা বের করা উচিত। আমি বুঝতে পারছি না একদিনে বিক্রি হওয়া টিকিট কীভাবে শেষ হয়ে যেতে পারে?’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা হতে পারে না যে একদিনের মধ্যে সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গেল। কত টিকিট বিক্রি হয়েছে? আর্মি কেন একটা বিবৃতি দিচ্ছে না?’
মোহনবাগান ক্লাব পাঁচ হাজার টিকিট পেয়েছে বলে জানিয়েছেন দেবাশিস। তার মধ্যে আড়াই হাজার টিকিট দেওয়া হয়েছে স্পন্সরদের। সমর্থকদের জন্য ছিল ২২০০ টিকিট। ইস্টবেঙ্গলও পাঁচ হাজার টিকিট পেয়েছে। কিন্তু তারপরেও ৫০,০০০ টিকিট থাকার কথা। সেই টিকিট কোথায় গেল? প্রশ্ন তুলেছেন দেবাশিস। কেন এমন টিকিটের হাহাকার হবে। আমার মনে হয় সেনাবাহিনীর সেটা প্রকাশ্যে বলা উচিত।‘
গত ডার্বিতে ৬৩,০০০ টিকিট ছাপানো হয়েছিল। এখন প্রশ্ন, তা হলে ৫৩,০০০ টিকিট কোথায়? দেবাশিস বলেন, ’৫৩,০০০ টিকিটের মধ্যে ৪০,০০০ টিকিট তো বিক্রি হবে? ২০,০০০ মোহনবাগান, ২০,০০০ ইস্টবেঙ্গল। তার মানে আপনারা বলতে চাইছেন, ২০,০০০ টিকিট একদিনে শেষ হয়ে গেল? এবার তো অনলাইনে বিক্রি হয়নি। এখান থেকে ২০,০০০ লোক টিকিট কেটে নিয়ে গিয়েছে? এটা আমার মনে বড় প্রশ্ন।‘