scorecardresearch
 

কোপা ফাইনাল : সতীর্থ লাউতারোই চ্যালেঞ্জ জানাবে মেসিকে

ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে নামছে মেসিরা। তার মধ্যেই আবার নতুন করে সতীর্থর সঙ্গে লড়াইয়ে নামছেন মেসি। প্রতিপক্ষ লাউতারো মার্টিনেজ। কাপ জয়ের মাঝে আবার নিজেদের মধ্যে কিসের লড়াই!

Advertisement
একই দলে থেকেও লড়াইয়ে দুজন একই দলে থেকেও লড়াইয়ে দুজন
হাইলাইটস
  • গোল্ডেন বুটের দৌড়ে এগিয়ে মেসি
  • পিছনেই রয়েছেন সতীর্থ লাউতারো
  • মেসির উপরেই নির্ভর করছে মার্টিনেজের সোনার বুট

দলকে ফাইনালে উঠিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে মেসি-লাউতারো 

কোপা Copa ফাইনালে দুজনের একটি লক্ষ্য এক। আর্জেন্টিনাকে Argentina জিতিয়ে খেতাব এনে দেওয়া। লিওনেল মেসি Lionel Messi আর লাউতারো মার্টিনেজের Lautaro Martinez এর কথা বলছি। আবার একই ফাইনালে তাঁদের মধ্যে জোর লড়াই শুরু হয়ে যাবে অন্য লক্ষ্যে। একই দলে খেলেও লড়াই কিসের? লড়াই তো থাকবেই। কারণ গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে মেসির পথের কাঁটা যে লাউতারোই। দুজনেই ফাইনালের আগে গোলদাতার তালিকায় রয়েছে শীর্ষ ও দুইয়ে।

গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে দুজনই শীর্ষে

আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি। তারপরই নির্ধারিত হয়ে যাবে, কোপায় সেরার শিরোপা পড়বে কারা। শুরু হয়ে গিয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। কাদের মাথায় উঠবে তাজ। তার মাঝেই আরও একটি বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা, হিসাব-নিকাশ। গোল্ডেন বুট জিতবে কে? এখনও পর্যন্ত সোনার বুট জেতার লড়াইয়ে সবচেয়ে আগে রয়েছে বিশ্ব তারকা লিওনেল মেসি। ৪ গোল করে এখনও পর্যন্ত কোপার সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই।

পিছনে রয়েছেন কারা

বিপক্ষ দলের মধ্যে তার পিছনে রয়েছেন আরেক তারকা ব্রাজিলের নেইমার, লুকাস পাকুইতা, পেরুর আন্দ্রে কারিল্লো, গিয়ানলুকা লাফাতুলা, কলম্বিয়ার লুইস দিয়াজ ও আর্জেন্টিনার পাপু গোমেজ। প্রত্যেকেরই গোল সংগ্রহ ২ টি করে। পেরু-কলম্বিয়া তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেললেও, তিনটি গোল করে কোনও একজনের পক্ষে মেসিকে ছাড়িয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। আবার ফাইনালের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচে নেইমার তিনটি গোল করে মেসিকে ছাড়িয়ে যাবে এমন সম্ভাবনাও অত্যন্ত ক্ষীণ।

তিন গোল নিয়ে মেসির ঘাড়ে নিঃশ্বাস লাউতারোর

তবে বিপক্ষ দলের কাছ থেকে চ্যালেঞ্জ আসার সম্ভাবনা খুব কম হলেও, সোনার বুটের দৌড়ে মেসিকে পিছনে ফেলে দিতে পারে তারই সতীর্থ লাউতারো মার্টিনেজ। মেসির চেয়ে ঠিক পিছনেই মেসির চেয়ে এক গোল কম করে ৩ গোলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন লাউতারো। ফাইনালে মেসি নিজে গোল না করে লাউতারোকে দু-একটা পাস পা বাড়িয়ে দিলেই সোনার বুটের মালিক হয়ে যেতে পারেন মেসির এই সতীর্থ।

Advertisement

লাউতারোর সাফল্যের পিছনেও মেসিই

এই লড়াইয়ে যদি আর্জেনটিনার খেতাব আসে, তাতে অবশ্য আপত্তি থাকার কথা নয়, আদ্যোপান্ত টিমম্যান লিওনেলের। আর লাউতারোর তিনটি গোলের মধ্যে অন্তত দুটির পিছনে মেসির প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। বিশেষ করে কলম্বিয়ার বিপক্ষে মার্টিনেজের যে গোল, তাতে বেশিরভাগ কৃতিত্ব মেসিরই। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে মার্টিনেজের পায়ে তিনি বল তুলে দিয়েছিলেন, শুধুমাত্র গোলমুখে শর্ট নিয়েছেন মার্টিনেজ।

৮৬ এর মারাদোনার ভূমিকায় মেসি

ব্রাজিলের বিপক্ষে করা মার্কিং এ থাকার কথা মেসির। ফলে মার্টিনেজকে আক্রমণে বেশি করে ব্যবহার করার চেষ্টা করবে আর্জেন্টিনা বলেই মনে করা যাচ্ছে। অতীতের ম্যাচগুলি তেমনি দেখা গিয়েছে। ৮৬ কিংবা ৯০ এর বিশ্বকাপে যেভাবে বুরুচাগা, বাতিস্তুতাদের যেভাবে ব্যবহার করে ম্যাচ তৈরি করতেন স্বয়ং মারাদোনা।


 

Advertisement