
বান্ধবী কিম শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে যখন লিয়েন্ডার ইস্টবেঙ্গলের অনুষ্ঠানে ঢুকছেন, ঠিক তখনই টেনিস লেজেন্ডকে ছেঁকে ধরল কলকাতার মিডিয়া। যত্নশীল প্রেমিকের মত কিমকে ঢুকিয়ে দিলেন ভেতরে। তার আগেই ভেতরে অপেক্ষা করছিলেন আরেক ভারত গৌরব ঝুলন গোস্বামী। নিজে ঢুকে লিয়েন্ডার জড়িয়ে ধরলেন ঝুলন গোস্বামীকে।
কলকাতাতেই বড় হয়ে ওঠা তাঁর। তাই নিজের শহরের ক্লাবের থেকে ভারত গৌরব সম্মান পাওয়াটা বিরাট ব্যাপার, তা জানিয়ে দিলেন লিয়েন্ডার। এদিন 'ভারত গৌরব' সম্মান পাওয়া নিয়ে প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড় বলেন," খুবই ভালো লাগছে। ইস্টবেঙ্গলের একটা বিরাট ইতিহাস আছে, ঐতিহ্য আছে। কলকাতার ছেলে আমি। কলকাতাতেই বড় হওয়া। এই অনুভূতিটা একেবারেই আলাদা। ময়দান মানেই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান, যুবভারতী। আজ ইস্টবেঙ্গল আমাকে এই সম্মান দিচ্ছে যা একবারে অন্যরকমের অনুভূতি।"
আরও পড়ুন: একাই তুললেন ৬ উইকেট, রেকর্ড গড়ে ভারতকে ১৩৮-এ আটকালেন ম্যাককয়
কলকাতা মানেই ফুটবল, কলকাতা মানেই ইডেন, আবার কলকাতা মানেই যুবভারতী। বেড়ে ওঠা কলকাতায়। তাই সোমবার বিকেলে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত লিয়েন্ডার। বললেন, 'ইস্টবেঙ্গল, ইডেন আর যুবভারতী আমার উইম্বলডন, ইউএস ওপেনে খেলার পথ অনেক মসৃণ করেছে।'' লিয়েন্ডার বলেন," ইস্টবেঙ্গল মাঠে খেলেছি, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, যুবভারতীর মধ্যে বেড়ে ওঠা, এই খানের মানুষের খেলা প্রতি ভালোবাসা, এই সবই আমাকে উইম্বলডন, ইউএস ওপেনে খেলতে সাহায্য করেছে। কারণ আমি তো ১ লক্ষ মানুষের সামনে খেলতে দেখেছি। উইম্বল্ডনে কত লোক হয়, ২১,০০০। তাই আমার কনোদিন সেন্টার কোর্টে নেমেও নার্ভাস লাগেনি। "
আরও পড়ুন: ISL-এ ইস্টবেঙ্গল নামেই খেলবে লাল-হলুদ, বড় ঘোষণা ইমামি কর্তার
কলকাতা মানেই ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি। ডার্বির কথা কী শুনেছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে শেষ না হতেই উত্তর দিলেন লিয়েন্ডার। বললেন, ''হ্যাঁ শুনবো না? ইস্ট-মোহনের ডার্বির যুদ্ধ কে না জানে। আমি জানি, এবং এই খেলা খুবই উপভোগও করি।"
একসময় বাবা ভেস পেজের হাত ধরে ময়দানে আসতেন লিয়েন্ডার। আজ বাবাকেই সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে উঠে 'ভারত গৌরব' সম্মান নিলেন তিনি। তিনি বলেন, ''ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি এই যে সংস্কৃতি সেটাই আমাকে তৈরি করেছে। খেলার প্রতি আকর্ষিত করেছে।''