scorecardresearch
 

FIFA World Cup Champion: ট্রফিহীন ঈশ্বর থেকে শেষবারের চেষ্টায় মারাদোনার স্বপ্নপূরণ মেসির

লিওনেল মেসির সবচেয়ে বড় স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ 2022 কে ফাইনাল ফ্রান্সের হরাকর আর্জেন্টিনা তৃতীয়বার ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে নিয়েছে৷ এই অসাধারণ মহাকাব্যের লেখক লিওনেল মেসি।লিওনেল মেসির সবচেয়ে বড় স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ 2022 কে ফাইনাল ফ্রান্সের হরাকর আর্জেন্টিনা তৃতীয়বার ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে নিয়েছে৷ এই অসাধারণ মহাকাব্যের লেখক লিওনেল মেসি।

Advertisement
লিওনেল মেসি লিওনেল মেসি

লিওনেল মেসির (Lionel Messi)  স্বপ্ন পূরণ করলেন। ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ 2022 কে ফাইনাল ফ্রান্সের হরিয়ে আর্জেন্টিনা তৃতীয়বার ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে নিয়েছে। এই অসাধারণ মহাকাব্যের লেখক লিওনেল মেসি। নিজের দক্ষতায় টিমকে চ্যাম্পিয়ান করা এবং ৩৬ বছর পরে আর্জেন্টিনার স্বপ্ন পূরণ করেছেন।

দক্ষিণ আমেরিকার সবথেকে দক্ষিণে অবস্থিত আর্জেন্টিনায় ইতিহাস লেখা হচ্ছে। প্রতিটি আর্জেন্টাইন এমন একজন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন যিনি যারা তাঁর স্বপ্নকে আরও একবার বাস্তবায়িত করেছেন। আর্জেন্টিনার ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, এই দেশটি সবসময়ই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছে। ১৯৮৩ সালে আর্জেন্টিনায় যথাযথ গণতন্ত্র এসেছিল, এর আগে প্রায় ৬ বার সরকার গঠিত হয়েছিল, কিন্তু সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান করে ক্ষমতা দখল করে। 1983 সালে আর্জেন্টিনায় গণতন্ত্র আসে, যা অক্ষত ছিল।  

প্রতিটি আর্জেন্টাইন এমন একজন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন যিনি যারা তাঁর স্বপ্নকে আরও একবার বাস্তবায়িত করেছেন। আর্জেন্টিনার ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, এই দেশটি সবসময়ই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছে। ১৯৮৩ সালে আর্জেন্টিনায় যথাযথ গণতন্ত্র এসেছিল, এর আগে প্রায় ৬ বার সরকার গঠিত হয়েছিল, কিন্তু সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান করে ক্ষমতা দখল করে। 1983 সালে আর্জেন্টিনায় গণতন্ত্র আসে, যা অক্ষত ছিল।  

লিওনেল মেসির বাবা একটি কারখানায় কাজ করতেন। আর তাঁর মা ক্লিনার হিসেবে কাজ করতেন। তবে বাবা একটি ক্লাবে কোচিং করায় বাড়িতে ফুটবলের পরিবেশ ছিল। লিওনেল মেসি নিজেই মাএ ৫ বছর বয়সে একটি ক্লাবে যোগ দেন। যেখানে তিনি ফুটবলের প্রাথমিক পাঠ নেন। ৮ বছর বয়সে, মেসি তাঁর ক্লাব পরিবর্তন করেন এবং নেয়েল ওল্ড বয়েজ ক্লাবে যোগ দেন। কিন্তু কিছুদিন পর এমন ঘটনা ঘটে, যা দেখে সকলেই অবাক। 

লিওনেল মেসি ১১ বছর বয়সে গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি নামক রোগে আক্রান্ত হন। এই রোগটি যদি মেসিকে কাবু করে ফেলত, তাহলে হয়তো বিশ্ব একজন মহান ফুটবলারের দেখা পেত না। এই রোগে যে কোনো মানুষের অগ্রগতি থেমে যায়। তখন পরিবারের কাছে টাকাও খুব বেশি ছিল না। ফলে মেসির চিকিৎসা করানো নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁর পরিবারের সদস্যদের। সেই সময় রিভার প্লেট থেকে মেসিকে খেলার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারাও এই চিকিৎসার খরচ চালাতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়।  

Advertisement

এই সময়ই মেসির ভাগ্য বদলে যায়। ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা তখন নজর রাখছিল ছোট বাচ্চাদের উপর, গোটা বিশ্বে যারা দারুণ ফুটবল খেলছে তাদের দিকে নজর রাখছিল তারা। ট্যালেন্ট হান্টের জন্য ছোট শহর, স্কুল, কলেজ এবং বিভিন্ন ক্লাবে নতুন প্রতিভার সন্ধান করতে থাকেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার ফাইনাল মিলিয়েছেন, জিতবে কে? ভবিষ্যদ্বাণী আধুনিক নস্ট্রাদামুসের

বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লেস রেজ্যাক, লিওনেল মেসির বিষয়ে জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গেই ক্লাব তাঁকে সই করায়। সেই সঙ্গে রোগের ওষুধ ও চিকিৎসার পুরো খরচ দেওয়ার কথা বলা হয়। শর্ত একটাই ছিল যে মেসিকে আর্জেন্টিনা ছেড়ে বার্সেলোনায় যেতে হবে। এই শর্ত স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নেন মেসির পরিবারের সদস্যরা। এর পরেই লিওনেল মেসির পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয়।

২০০১-২০০২ সালে বার্সেলোনা-বি দলে নির্বাচিত হন মেসি। সেই সময়ে তিনি প্রায় প্রতিটি ম্যাচে অন্তত একটি গোল করেছিলেন। এমন একটি মরশুমে ৩০টি ম্যাচে মোট ৩৫টি গোল করেন। ১৪ বছর বয়সে, লিওনেল মেসি, বার্সেলোনা বি দলে যোগ দেন এবং এগিয়ে যেতে থাকেন। মেসি ছোট ছোট লিগে নিজের নাম তৈরি করছিলেন এবং ভালো হয়ে উঠছিলেন। 

Advertisement