২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) শুরু হতে খুব বেশি সময় বাকি নেই। আর মাত্র ৯ দিন পর শুরু হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। কাতারে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই বিশ্বকাপের আগে বন্ধু দিয়েগো মারাদোনাকে (Diego Maradona) খুব মিস করছেন জার্মানির প্রাক্তন ফুটবলার লোথার ম্যাথিউস। নিজের ফেসবুক ওয়ালে প্রয়াত মারাদোনার সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করলেন ম্যাথিউস (Lothar Matthaus)। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে প্রয়াত হন মারাদোনা।
'ওর বিরুদ্ধে খেলা বিরাট সম্মানের'
দুই কিংবদন্তি দুই দেশের হয়ে খেললেও তাঁদের একে অপরের প্রতি দারুণ শ্রদ্ধা ছিল। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল চলাকালীন বিরতির সময় লকার রুমে গিয়ে নিজের জার্সি জার্মান তারকার হাতে তুলে দেন মারাদোনা। সেই বিশ্বকাপে কার্যত একার দক্ষতায় আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করেন মারাদোনা। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মৃত্যুর পর সেই জার্সি ফের আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনের হাতে তুলে দেন লোথার ম্যাথিউস। জার্মানির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা তারকা ফুটবলার বলেন, 'ওর বিরুদ্ধে খেলা একটা বিরাট সম্মানের ব্যাপার। ফুটবলার এবং মানুষ হিসেবে ও সারা জীবন আমার হৃদয়ে থেকে যাবে।'
আরও পড়ুন: শুরু হতে চলেছে ফুটবল বিশ্বকাপ, কখন-কোথায়-কীভাবে দেখবেন?
পরপর দুটি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার রেকর্ড খুব বেশি ফুটবলারের দখলে নেই। তবে এই দুই তারকাই সেই রেকর্ডের অধিকারি। শুধু তাই নয়, একেবারে শেয়ানে শেয়ানে টক্কর দিয়েছেন দুই জনেই। ১৯৮৬ সালে মারাদোনা আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করলেও ১৯৯০-এর বিশ্বকাপ ফাইনালে লোথার ম্যাথিউসরা কাপ ছিনিয়ে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার কাছ থেকে।
আরও পড়ুন: ডিফেন্স মজবুত করতে চায় মোহনবাগান, নজরে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার?
কী ভাবে বন্ধুত্ব হয়েছিল দুই কিংবদন্তীর?
ইতালিতে সিরি আ লিগে খেলতেন দুই জনেই। তবে অবশ্যই দুই দলের হয়ে। ইন্টার মিলানের হয়ে খেলতেন ম্যাথিউস। আর মারাদোনার ক্লাব ছিল নাপোলি। দুই দলে খেললেও সেখান থেকেই বন্ধুত্ব হয় দু'জনের। এক সাক্ষাৎকারে এই বন্ধুত্ব নিয়ে জার্মান তারকা বলেন, "আমরা একে অপরকে সম্মান করতাম। অনেকবার খেলার পর যেখানে আমরা শত্রুদের মতো লড়াই করেছি, আবার অনেক সময় আমরা এক সঙ্গে সকাল পর্যন্ত পার্টি করেছি।" শুধু তাই নয়। একে ওপরের ফেয়ার ওয়েল ম্যাচেও মাঠে উপস্থিত থেকেছেন। ম্যাথিউস বলেন, ''আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে অনেকবার খেলেছি। মারাদোনা আমার বিদায়ী ম্যাচে খেলার জন্য মিউনিখে এসেছিল। আমি আবার ওর জন্য বুয়েনেস আইরেসে ছিলাম।"
মাঠের মধ্যে ৯০ মিনিটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মাঠের বাইরে দুই জনেই দারুণ বন্ধু ছিলেন। আর সেই কারণেই বিশ্বকাপের আগে বন্ধুর অনুপস্থিতি দারুনভাবে মিস করছেন লোথার ম্যাথিউস।