Mohun Bagan: অঞ্জন কার? মোহনবাগানে সৃঞ্জয় শিবির VS দেবাশিস শিবির তুঙ্গে

২০ জুলাই অঞ্জন মিত্রের জন্মদিন পালিত হয় ময়দানে। তবে মোহনবাগানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিভেদ স্পষ্ট হল। সকালে প্রয়াত সচিবের স্মরণে রক্তদান উৎসব করলেন সৃঞ্জয় বসু। আর বিকেলে মোহনবাগান ক্লাবে অঞ্জন মিত্রের নামে উদ্বোধন হল মিডিয়া সেন্টারের। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে থাকলেন সচিব দেবাশিস দত্ত।

Advertisement
অঞ্জন কার? মোহনবাগানে সৃঞ্জয় শিবির VS দেবাশিস শিবির তুঙ্গেদেবাশিস দত্ত, অঞ্জন মিত্র ও সৃঞ্জয় বসু

২০ জুলাই অঞ্জন মিত্রের জন্মদিন পালিত হয় ময়দানে। তবে মোহনবাগানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিভেদ স্পষ্ট হল। সকালে প্রয়াত সচিবের স্মরণে রক্তদান উৎসব করলেন সৃঞ্জয় বসু। আর বিকেলে মোহনবাগান ক্লাবে অঞ্জন মিত্রের নামে উদ্বোধন হল মিডিয়া সেন্টারের। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে থাকলেন সচিব দেবাশিস দত্ত।


দুই জনই অঞ্জন মিত্রকে ময়দানের শিক্ষক বলে মানেন। বৃহস্পতিবার সকালে ময়দানের গোষ্ঠপাল মূর্তির পাদদেশে পালন হল মোহনবাগানের প্রয়াত সচিব অঞ্জন মিত্রর জন্মদিন। এই অনুষ্ঠানের একদিন আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হতে থাকে এই অনুষ্ঠানের পোস্টার। ‘অঞ্জনে অঞ্জলি’ অনুষ্ঠিত হয় ময়দানের গোষ্ঠপালের মুর্তির পাদদেশে। কিন্তু এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা কারা? তা এই কার্ডে উল্লেখ ছিল না। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্য, ছিলেন এবছর ‘মোহনবাগান রত্ন’ গৌতম সরকার, অলোক মুখোপাধ্যায়, প্রশান্ত বন্দোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তন ফুটবলাররা। এরপর অনুষ্ঠিত হয় রক্তদান শিবিরও। আর গোটা অনুষ্ঠানে মধ্যরমনি ছিলেন মোহনবাগান ক্লাবের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুকে। ছিলেন সিদ্ধার্থ (পপ) রায় ও সঞ্জয় (বাপ্পা) ঘোষও। মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানে ছিলেন ফুটবল সচিব স্বপন বন্দোপাধ্যায়।


এই পর্যন্ত সবটাই ঠিক ছিল। কিন্তু গোষ্ট পালের মূর্তির পাদদেশে সৃঞ্জয়ের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তকে। আবার বিকেলে মোহনবাগান ক্লাবের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি সৃঞ্জয় বসুকে। ছিলেন না সভাপতি স্বপন সাধান বসুকে। মোহনবাগান ক্লাবে সৃঞ্জয় বসু ও দেবাশিস দত্তের বন্ধুত্বের কথা অজানা নয়। এই দুই কর্তা মিলেই তৎকালীন সচিব অঞ্জনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে দিয়েছিলেন। সেই লড়াইয়ে জিতলেও, কিছুদিনের মধ্যেই পদত্যাগ করেন সৃঞ্জয়। তাতেও এই বন্ধুত্বে ফাটল ধরার ইঙ্গিত মেলেনি। 
তবে এবার সেই অঞ্জন মিত্রের জন্মদিনেই দুই বন্ধুর ফাটল যেন প্রকাশ্যে চলে এল। সৃঞ্জয় বসু এক ইউটিউব চ্যােনেলে ও পোর্টালে জানিয়েছেন, ‘অঞ্জনদার জন্মদিন ক্লাব থেকে আমরা আগেই শুরু করেছিলাম। যখন বেঁচেছিলেন তখন দূর্গাপুরে করতাম। তারপরও করেছি। এখানে একটা ছাতার তলায় একাধিক ফ্যান ক্লাব যুক্ত হয়েছে। আগামী দিনে আরও ফ্যান ক্লাব আসতে পারে। আজকের এটা একটা ছোট চেষ্টা। কারও সঙ্গে তুলনা নেই।‘ 

Advertisement


আক্ষেপ ঝড়ে পড়েছে সঞ্জয় (বাপ্পা) ঘোষের গলায়। মোহনবাগান দলের প্রাক্তন ম্যানেজার বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা যা করেছি তা ঠিক হয়নি। টুটুদা ও অঞ্জনদার সঙ্গে বিভেদ করিয়ে ঠিক কাজ করিনি। আজ তার খেসারত দিচ্ছি।‘ তা হলে কি ক্লাবের নির্বাচনে ফের লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সৃঞ্জয়? প্রশ্ন তুলছেন ময়দানের মোহনবাগান ফ্যানরা।
 

POST A COMMENT
Advertisement