দুই বছর আগে ১০ মার্চ আই লিগ জিতেছিল মোহনবাগান। এরপর আর মাঠে ফেরা হয়নি সবুজ-মেরুন দর্শকদের। করোনার কারণে আইএসএল (ISL 2022) পরপর দুই বছরেই গোয়াতে। এটিকে মোহনবাগানও (ATK Mohun Bagan) ভাল ছন্দে রয়েছে গত বছর রানার্স হলেও এ মরশুমে ফের ট্রফি জেতার স্বপ্ন দেখছে সবুজ-মেরুন শিবির। সমর্থকদের একাংশ এটিকে সঙ্গে এই মার্জার মানতে না পারলেও মাঠে গিয়ে খেলা দেখার আনন্দ মিস করছেন সকলেই। মোহন সমর্থকরা তাই মাঠে যেতে না পারলেও দুই বছর আগের স্মৃতিই হাতড়ে বেড়াচ্ছেন।
কিবু ভিকুনার (Kibu Vicuna) পাসিং ফুটবল বিপক্ষের সমস্ত কিছুই তছনছ করে দিচ্ছিল। জোসেবা বেইতিয়ারা সবুজ ঘাসে ফুল ফোটাচ্ছিলেন। গোল করছিলেন পাপা বাবাকর দিয়ারা। সমস্যায় পড়লেই পরিত্রাতা বাঙালি শুভ ঘোষ। জন্ম হয়েছিল নতুন তারকা শেখ সাহিলের। আইজলের বিরুদ্ধে কল্যাণী স্টেডিয়ামে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস বলে দিচ্ছিল সবটা। চার ম্যাচ বাকি থাকতেই সেবার ভারতসেরা হয়েছিল মোহনবাগান। সেই দিনের ঘটনা আজতক বাংলাকে জানালেন দুই চিকিৎসক সমর্থক। সুপ্রিম সাধুখাঁ এবং শুভ্রব্রত পাইন।
বৈদ্যবাটির বাসিন্দা সুপ্রিম বলেন, ''ওই দিনটার কথা যদি বলতে হয় তবে আমার গায়ে এখনও কাঁটা দেয়। সকালে খুব তাড়াতাড়ি চেম্বার সেরে গাড়ি নিয়ে কল্যাণীর মাঠে এসেছিলাম। আমরা জানতাম হয় এই ম্যাচ নয়ত পরের ম্যাচে আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। তখনও করোনার ব্যাপারে এতকিছু হবে জানতাম না। বাকি ম্যাচগুলো আর হবে না তাও বুঝিনি। তবে আশি মিনিট অবধি গোল আসছিল না। একটা টেনশন হচ্ছিল। হাতের সমস্ত নখ খেয়ে ফেলেছিলাম গ্যালারিতে বসেই। শেষ পর্যন্ত গোলটা হল। সবুজ মেরুন আবিরে ছেয়ে গেল গ্যালারি। বেস ক্যাম্পের সদস্যরা নাচছিল। খুব আনন্দ হয়েছিল। খেলা দেখেই আবার চেম্বারে বসতে হয়েছিল। তবুও মনের মধ্যে আনন্দটা ছিল। যেটা আজও উপভোগ করি।''
আরও পড়ুন: অরিন্দম, রফিকরা নয়, ফ্যানরাই শীর্ষে পৌঁছে দিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলকে
আরও পড়ুন: প্রবীণ তাম্বেকে নিয়ে বায়োপিক, অভিনয়ে শ্রেয়স তলপড়ে-পরম; দেখুন Trailer
মার্জার হওয়ার পর আবেগটা একটু কমে গিয়েছে। অনেকে এমনটা বললেও সুপ্রিম কিন্তু তা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ''আমার মনে হয় মাঠে দর্শক ফিরলেই আবেগ ফিরে আসবে। পরিকাঠামো ভাল হতে গেলে টাকা দরকার। তবে ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি মার্জ না হয়ে ইনভেস্টর এলেই ভাল হত। আমি কিন্তু রয় কৃষ্ণদের (Roy Krishna) জিততে দেখলে বেশ মজা পাই।''
শুভ্রব্রত বলেন, ''গোলটা আসছিল না টেনশন হচ্ছিল। কাজের চাপে রোজ মাঠে আসা হয় না। ফলে চোখের সামনে যদি ভারতসেরা হওয়ার মুহূর্তটা উপভোগ করতে না পারি তবে আফসোস থেকে যাবে। তাই ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছিলাম। একটা গোল যাতে হয়ে যায়। এখন মাঝেমাঝে ভাবি ওইদিন জিততে না পারলে কী হত করোনার জন্য এরপর আর ম্যাচ হয়নি। দ্বিতীয় বারের জন্য আইলিগ জিততে পারত না আমাদের প্রিয় ক্লাব।''