যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ফুটবলারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ইরানে খেলতে যায়নি মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। সে কারণে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ থেকেও বাদ পড়তে হয়েছিল তাদের। তবে এবার এএফসি-র সিদ্ধান্তে কিছুটা স্বস্তি পেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আর্থিক জরিমানার রাস্তা থেকে সরে এল এএফসি। তবে এই মরশুমে আর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-তে খেলতে পারবে না সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। শনিবার মোহনবাগানের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, আজ এএফসির তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের তরফে যে আবেদন করা হয়েছিল, সেটাকে ‘অভূতপূর্ব পরিস্থিতি’ (অনুমান করা যায় না এমন পরিস্থিতি, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে) হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএফসি কম্পিটিশন কমিটি। আর সেই পরিস্থিতিতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-র নিয়মাবলীর ৫.৭ ধারা অনুযায়ী মোহনবাগানকে আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে হবে না। কিন্তু এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-র নিয়মাবলীর ৫.৫ ধারা এবং ৫.৬ ধারা অনুযায়ী ‘অভূতপূর্ব পরিস্থিতি’ হলেও মোহনবাগান চলতি মরশুমে সেই প্রতিযোগিতায় আর খেলতে পারবে না।
চূড়ান্ত পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
এএফসি-র বিরুদ্ধে তবু উঠছে চূড়ান্ত পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। গত ২ অক্টোবর ইরানে ট্র্যাক্টর এফসির বিরুদ্ধে খেলতে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু সেইসময় ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘাতের জেরে যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে ম্যাচটি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। আর যেদিন মোহনবাগানের ম্যাচ ছিল, ঠিক সেদিনই ইজরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরান।
মোহনবাগান খেলতে না যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই বিবৃতি জারি করে মোহনবাগানকেই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ থেকে বের করে দেয় এএফসি। সেই এএফসিই আবার মোহনবাগানের গ্রুপে থাকা তাজিকিস্তানের ক্লাব রাভশানকে ইরানে যেতে হবে না বলে জানায়। ২৩ অক্টোবর ইরানে যে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে যাওয়ার কথা ছিল রাভশানের, সেটাকে তাজিকিস্তানের ক্লাব দলের হোম ম্যাচ করে দেয় এএফসি। এতেই চটেছিলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। তবে এশিয়ার ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার আজকের সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন তাঁরা।