ভুল করলেন, আবার তার প্রায়শ্চিত্তও করলেন জেসন কামিন্স। মাজিয়ার বিরুদ্ধেও জয়ের ধারা অব্যহত রাখল হুয়ান ফেরান্দোর মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। জয় দিয়ে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্ব শুরু করেছিল মোহনবাগান। এ দিন দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল মলদ্বীপের মাজিয়া এসআরসি। অসংখ্য সুযোগ তৈরি করেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি মোহনবাগান।
ম্যাচের ২৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। অনবদ্য গ্রাউন্ডারে গোল করেন বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স। এএফসি কাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে শুরু থেকে খেলেননি তিনি। পরে নামানো হয়েছিল। তবে এ দিন প্রথম একাদশে ছিলেন কামিন্স। এএফসি কাপেও গোল করে ফেললেন। কিন্তু একটা সময় ভিলেন হতে বসেছিলেন কামিন্স। ভুল শুধরে নেওয়ার সমালোচনা হজম করার থেকে বেঁচে গেলেন বিশ্বকাপার।
৩৯ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে আর্মান্দো সাদিকুকে ফাউল করা হয়। জেসন কামিন্স শট নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেও, সকলকে চমকে দেন। কামিন্স পেনাল্টি নিতে গিয়ে ডান দিকে ছোট্ট পাস খেলেন দিমিত্রি পেত্রাতোসের জন্য। পেত্রাতোস পোঁছনোর আগেই মাজিয়ার ডিফেন্ডার অ্যান্দ্রেজ ক্লিয়ার করেন। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করে সবুজ-মেরুন। বিরতির ঠিক আগে জাপানি ফুটবলার তোমোকি ওয়াডার গোলে সমতা ফেরায় মাজিয়া। জোরালো দূরপাল্লার শট নেন। গোলকিপার বিশাল কাইথের কাছে কোনও সুযোগই ছিল না। কামিন্স-দিমিত্রি জুটির পেনাল্টি নষ্ট বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতেই পারত। অ্যাডেড টাইমের তৃতীয় মিনিটে সেই কামিন্সই গোল করেন। ম্যাচ শেষে দেখা যায়, কামিন্স-পেত্রাতোস আলাদা করে কথা বলছেন। তবে তা সেই পেনাল্টি নিয়েই কিনা তা জানা যায়নি।
মোহনবাগানের আক্রমণ ভাগ ম্যাচে সার্বিক ভাবে যা পারফর্ম করেছে, মাজিয়া হয়তো অন্তত হাফডজন গোল খেত। মোহনবাগান মোট ৯টি গোল মুখী শট নিয়েছে। এর মধ্যে সাতটি সেভ করেন মাজিয়া গোলরক্ষক হোসেন শেরিফ।