জোড়া গোল আর্মান্দো সাদিকুর (Armando Sadiku)। আর তার জেরেই ডার্বির (Kolkata Derby) পর ফের জয় পেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। ৪-৩ গোলে কেরল ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) বিরুদ্ধে জয় পেল সবুজ-মেরুন। এর জেরেই শিল্ড জেতার আরও কাছে মোহনবাগান। ম্যাচের শুরুটা দারুণ করেছিল মোহনবাগান। শেষ হাসিটাও হাসল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের (Antonio Lopez Habas) দল।
প্রথম গল্টাই মাত্র চার মিনিটে। সম্পূর্ণ একার কৃতিত্বে এক ডিফেন্ডারকে ঘাড়ে নিয়ে গোল করে যান সাদিকু। ডার্বিতে তাঁকে শুরু থেকে রাখেননি হাবাস। বুধবার দুই গোল করে যেন তার জবাব দিলেন সাদিকু। প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। দুই দলই আক্রমণ করছিল। কিন্তু গোলের মুখ খুলে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি সবুজ-মেরুন। গোল শোধও করতে পারেননি প্রীতম কোটালরা। মোহনবাগানের গোলে বিশাল কাইত এ দিনও দুটি নিশ্চিত গোল সেভ করেন। দ্বিতীয়ার্ধে যদিও গোলের মুখ খুলতে শুরু করে দুই দলই। ৫৪ মিনিটে কেরলের হয়ে গোল শোধ করেন ভিবিন মোহানান। কিন্তু ৬ মিনিটের মধ্যে আবার মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন সাদিকু। ফ্রিকিক থেকে দিমিত্রি পেত্রাতসের শট হেড করে সাদিকুর কাছে যায়। সেই বল ধরে হাফ ভলিতে গোল করেন সাদিকু।
সাদিকুকে তুলে জেসন কামিন্সকে নামিয়েছিলেন হাবাস। গোল পান বিশ্বকাপার। দলকে ৪-২ গোলে এগিয়ে দিয়েছিলেন কামিন্স। যে সময় মনে করা হচ্ছিল গোল আর হবে না। কিন্তু ৯০ মিনিটের পর ৮ মিনিট অ্যাডেড টাইমে গোল করেন কেরলের দিমিত্রিয়াস। ম্যাচ শেষ হয় ৪-৩ গোলে।
১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। ১৯ ম্যাচ খেলে একই সংখ্যক পয়েন্ট মুম্বই সিটির। কিন্তু গোল পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে তারা। তৃতীয় স্থানে থাকা ওড়িশা এফসি ১৮ ম্যাচ খেলে পেয়েছে ৩৫ পয়েন্ট। একই সংখ্যক ম্যাচ খেলে ৩৩ পয়েন্ট পেয়েছে গোয়া। এই চারটি দল প্লে অফে জায়গা পাকা করে ফেলেছে।