ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে। ১৬ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল ওড়িশা এফসি। তিন নম্বরেই থাকতে হল মোহনবাগানকে। ১৬ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট তাদের। টানা ১২ ম্যাচে অপরাজিত থাকল ওড়িশা এফসি। সেই ২৭ অক্টোবর শেষবার কেরল ব্লাস্টার্সের কাছে ১-২ গোলে হেরেছিল তারা। তারপর থেকে আর কোনও ম্যাচে কেউ হারাতে পারেনি কলিঙ্গবাহিনীকে। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচে তারা ড্র করেছে। মোহনবাগানেরই বিরুদ্ধে আগের লেগেও ড্র করেছে ওড়িশা।
এই ম্যাচে ওড়িশা চেয়েছিল মোহনবাগানকে হারিয়ে এক নম্বর জায়গা ধরে রাখতে। আর রয় কৃষ্ণদের হারালেই মোহনবাগান পৌঁছে যেত শীর্ষে। পরপর তিন ম্যাচ জিতে মোহনবাগানও আত্মবিশ্বাসী হয়েই নেমেছিল এই ম্যাচে। ৫ মিনিটে মোহনবাগানের সাদিকু প্রায় গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এবং তিনি একটি শট নেন। তবে মোর্তাদা ফল দুর্দান্ত একটি ব্লক তৈরি করে সাদিকুর প্রচেষ্টা ভেস্তে দেন। ১৬ মিনিটেও সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল অড়িশা। ইসক রালতের একটি শট প্রায় গোলে ঢুকে যাচ্ছিল। কিন্তু ভালো সেভ করেন বিশাল কাইথ। হাঁফ ছেড়ে বাঁচল বাগান সমর্থকেরা। এর পর ওড়িশা কর্নার পেলেও, সেখান থেকে কার্যকরী কিছু তারা করে উঠতে পারেনি।
প্রথমার্ধে সাদিকু ওনেক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। সুযোগ পেয়েছিলেন জনি কাউকোও। তবে গোল পায়নি কেউই। ৩৪ মিনিটে ফের গোলের বড় সুযোগ পেয়ে যান সাদিকু। কিন্তু বল জালে জড়াতে এবারও তিনি ব্যর্থ হন। ওড়িশা কিপার বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন, সাদিকু জোরালো শট মারলে, সেটা গোল হওয়ার বড় সুযোগ ছিল। কিন্তু তাঁর দুর্বল শট বাঁচিয়ে দেন অমরিন্দর। প্রথমার্ধের শেষের দিকে মোহনবাগানকে বেশ চেপে ধরেছিল ওড়িশা। বিরতির পর তারা একই রকম ভাবে খেলা শুরু করার আগেই, পাল্টা আঘাত হানে হাবাস ব্রিগেড।