গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের ফিল্ডিং আগের চেয়ে অনেকটা শুধরেছে। ফলে মোটামুটি ক্যাচ ফেলা, কিংবা ফিল্ডিংয়ে সিলি মিসটেক এখন ততটা হয় না। তার মধ্যে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯ তম ওভারে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ফেলেন হাসান আলি। তা নিয়ে এখন ট্রোল শুরু হয়েছে।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা দল সেমিফাইনালে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল। স্টিভ ওয়ার ক্যাচ ধরেও ফেলে দেন হার্শেল গিবস। তখন তাকে স্টিভ বলেছিলেন, যা পরে প্রবাদে পরিণত হয়। স্টিভ, গিবসকে বলেন, ওহে তুমি ক্যাচ নয়, বিশ্বকাপটাই মাটিতে ফেলে দিলে। পরে অবশ্য জানা যায়, স্টিভ গিবসকে কিছুই বলেননি। তবে সেটা একটা অব্যক্ত প্রবাদে পরিণত হয়। কাকতালীয়ভাবে সেবার ফাইনালে পাকিস্তানকেই হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে অসিরা। এবার সেমিফাইনালেই পাক দলকে হারিয়ে তাঁরা ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হন।
হাসান আলিরও নিশ্চয় হার্শেল গিবস-এর মতোই অনুভব হচ্ছে। কারণ ক্যাচ ছাড়ার পর ম্যাথু ওয়েড পাকিস্তানের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে যান।
যার পর ক্যাপ্টেন বাবর আজম সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন যে ওয়েডের ক্যাচ মিসই টার্নিং পয়েন্ট ম্যাচের। তারপর হাসান আলির চাপ আরও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
সেই সঙ্গে গোটা দেশে হাসান আলির মুন্ডপাত করছে জনতা। শেষ ১০ বলে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য ২০ রান দরকার ছিল। সেই সময় শাহিন আফ্রিদির বলে ক্যাচ তুলে দেন ম্যাথু ওয়েড। চেষ্টা করেও তালুবন্দি করতে পারেননি হাসান আলি। তারপর ওয়েড পরপর তিনটি ছয় মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন। ভারতের কাছে আইসিসি ট্রফিতে যেমন নিউজিল্যান্ড, তেমনই পাকিস্তানের কাছে গেরো হয়ে দেখা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
কিন্তু ঘটনার পর থেকে হাসান আলিকে নিয়ে গোটা পাকিস্তান জুড়ে শুরু হয়েছে ট্রোলিং। যা নিয়ে নিশ্চিত অস্বস্তিতে পড়তে হবে হাসান আলিকে।