ইমারজিং এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে গেল ভারতীয় দল। যশ ধুলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় এ দল ১২৮ রানে হেরে গেল। ফাইনালে ভারতের হার যেন ২০১৭ সালের অ্যাকশন রিপ্লে। শুধু কোনও এক বিভাগ নয়, ভারতীয় দল রবিবার ব্যর্থ হল সমস্ত বিভাগেই।
২০১৯ সালের পর ফের ইমারজিং এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হল পাকিস্তান। ২০১৭ সালে ভারতের সিনিয়র দলকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে হারতে হয়েছিল ১৮০ রানে। আর এবার হারতে হল ১৪০ রানে। শুধু তাই নয়, মিল আরও রয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং সমস্ত বিভাগেই পাকিস্তানের থেকে অনেকটা পিছিয়ে ছিল ভারত। যদিও টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিল যশ ধুলের ভারত। এদিনের ম্যাচে একাধিক ক্যাচ পড়ল। তরুণ অধিনায়ক যশ ধুলের ফিল্ডিং সাজানো নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ফাঁকা জায়গা পেয়ে পাক ব্যাটারেরা ইচ্ছেমতো রান করে গেলেন।
রবিবার ফাইনালের শুরু থেকেই পাকিস্তানের ব্যাটারেরা দারুণ ছন্দে ছিল। গ্রুপ পর্বে এই পাকিস্তানকেই মাত্র ২০৫ রানে অলআউট করে দিয়েছিল ভারত। আর এদিন সেই ব্যাটারেরাই এই ম্যাচে বদলার মেজাজে ছিলেন। দুই ওপেনার সৈয়ম আয়ুব এবং সাহিবজ়াদা ফারহান মাত্র ১৭ ওভারেই ১২১ রান করে ফেলেন। মানব সুতারের বলে সৈয়ম আউট না হলে কী যে হত বলা মুশকিল। সাহিবজাদাও বেশি সময় উইকেটে টিকতে পারেননি। ৬২ বলে ৬৫ রান করে রান আউট হয়ে যান তিনিও।
এরপর যদিও ভারতীয় দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন রিয়ান পরাগ। দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। ওমাইর ইউসুফ এবং কাশিম আক্রমকে আউট করে চাপে ফেলে দেন রিয়ান। ৩৫ রান করে ইউসুফ রিয়ানের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। পরের বলেই মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দেন আক্রম। ব্যর্থ হন পাক অধিনায়ক মহম্মদ হ্যারিসও। মাত্র দুই রান করে আউট হন তিনি। ১৮৭ রানে পাকিস্তান পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেল। তবে সেখান থেকেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তৈয়ব এবং মুবাসির খান। ১৮৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তাঁরা। তৈয়ব ৭১ বলে ১০৮ রান করেন। মুবাসির করেন ৩৫ রান। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ৩৫২ রানে। রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকর ৬ ওভার বল করে ৪৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন হর্ষিত রানা, সুতার এবং নিশান্ত সিন্ধু।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ২৯ রান করে ফেরেন সুদর্শন। তিন নম্বরে নেমে নিকিন জোস মাত্র ১১ রান করে আউট হন। ওপেনার অভিষেক শর্মা কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। কিন্তু ৬১ রান করে আউট হন সুফিয়ান মুকিম। অধিনায়ক যশ ধুল ৩৯ রানের বেশি করতে পারেননি। বাকি ব্যাটারেরা একের পর এক উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসতে থাকেন। ৬০ বল বাকি থাকতেই সমস্ত উইকেট হারায় ভারত।