কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে কিলিয়ান এমবাপেদের হারের বদলা নিল থিওরি অঁরির ফ্রান্স। অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনালে ১-০ গোলে গোলে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে আয়োজকরা। ১৯৮৪ সালের পর আর ফুটবলে সোনা জিততে পারেনি ফ্রান্স। এবার ঘরের মাঠে কি সাফল্য আসবে?
বোর্দোতে যদিও শুক্রবার পুরো ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছে আর্জেন্টিনা। বল দখলেই হোক কিংবা লক্ষ্যে শট নেওয়া, সব দিকে এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু ফল নির্ধারক গোলটি শুরুতেই হজম করে হাভিয়ের মাসচেরানোর দল। সেই ক্ষতি আর পুষিয়ে নিতে পারেনি ২০০৪ ও ২০০৮ সালের সোনাজয়ীরা। ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনাকে পেছনে ফেলে ফ্রান্স। কর্নার থেকে মাইকেল ওলিসের ক্রস পেয়ে বক্সের সেন্টার থেকে হেড করে জাল কাঁপান জ্যা ফিলিপ্পে মাতেতা। ওই একটি গোলই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে যথেষ্ট্ ছিল।
ব্যবধান যেমন আরও বাড়তে পারত, তেমনই গোল শোধ হয়ে গেলেও বলার কিছু ছিল না। ৮৩ মিনিটে ফ্রান্স ব্যবধান বাড়িয়েও ফেলেছিল। ওলিসের বাঁ পায়ের শট জালে জড়ানোর পরে উল্লাসে ফেটে পড়ে গ্যালারি। কিন্তু ভিএআর গোলটি বাতিল করে দেয়।
ওটামেন্ডিদের চেস্টার ত্রুটি ছিল না। তাঁরা গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিল ১৬টি, উল্টোদিকে ফ্রান্স ১০টি। গুইলাউমো রেস্তেস আর্জেন্টাইনদের সামনে প্রাচীর গড়ে তোলেন। দারুণ দক্ষতায় তাদের চারবারের চেষ্টা সেভ করে দেন তিনি। তাতে করে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। ম্যাচের শেষদিকে দুই দলের খেলোয়াড়রা মেজাজ হারান। তবে সেখান থেকে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে প্যারাগুয়েকে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে মিশর। সেমিফাইনালে তারা খেলবে ফ্রান্সের বিপক্ষে। কোয়ার্টার ফাইনালে মিশরীয়রা ৭১ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে গোল শোধ দেয় তারা। ১-১ এ সমতা ছিল অতিরিক্ত সময়েও। টাইব্রেকারে প্যারাগুয়ে দ্বিতীয় শট জালে জড়াতে ব্যর্থ হলেও মিশর পাঁচ শটের সবগুলো গোলে পরিণত করেছে।