করোনার সঙ্কটকে সামনে রেখে আইপিএল প্রশাসন এই মরসুমের সব ম্যাচ স্থগিত করেছে। একই সময়ে, হাইকোর্টের একজন আইনজীবী একটি পিটিশন দায়ের করেছেন যে, বিসিসিআই এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আবেদনে বলা হয়েছে যে করোনার মহামারীর সময়ে আইপিএলে যা কিছু আয় হয়েছে তার থেকে চিকিৎসা খাতে এবং অক্সিজেন সরবরাহ হিসাবে ১০০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে হবে।
এই আবেদনটি দায়েরকালে উকিল বন্দনা শাহ আদালতে জানিয়েছেন, বিসিসিআই যেন তাদের উগ্র আচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চায়। আবেদনে বলা হয়েছে, বিসিসিআইকেও শ্মশানের ব্যবস্থা করা উচিত। কারণ এই দিনগুলিতে মৃতদেহের বোঝা বাড়ছে। শাহ তাঁর আবেদনে বিসিসিআইয়ের কাছে সাধারণ মানুষের জন্য জবাবদিহি চেয়েছেন। তিনি নিজেও খেলাধুলার এক অনুরাগী বলে জানিয়েছেন । তবে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে জীবন আরও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বন্দনা শাহ।
তবে পিটিশন দায়েরের সময়ে বলা হয়েছিল আইপিএল যাতে স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু তার আগেই আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এবং বিসিসিআই জরুরি সভা ডেকে সর্বসম্মতিক্রমে আইপিএল ২০২১ অবিলম্বে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা এবং দিল্লির সিনিয়র স্পিনার অমিত মিশ্রকে করোনার পজিটিভ হওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিসিসিআই আইপিএল স্থগিতের পরে একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, যে আমরা খেলোয়াড়, স্পোটর্স স্টাফ এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষার জন্য কোনও আপস করতে পারছি না। সবার নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য পরিস্থিতির কথা মাথা রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যদিও বন্দনা শাহের দাবি, আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া হলেও হাইকোর্ট ১০০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ওই আবেদনের শুনানি করুক। বৃহস্পতিবার বোম্বে হাইকোর্টে এই আবেদনের শুনানি হবে।