আইএসএল (ISL) ট্রফি জিতে বান্ধবী সোনেলাকে (Sonela Paul) মাঠের মধ্যেই প্রপোজ করে বসলেন মোহনবাগান (Mohun Bagan) অধিনায়ক প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal)। গোটা দল যখন মাঠের মধ্যেই সেলিব্রেশনে ব্যস্ত ঠিক সেই সময়ই সোনেলার আঙুলে আংটি পরিয়ে প্রপোজ করেন আইএসএল জয়ী ক্যাপ্টেন। বিশেষ মুহূর্তকে আরও স্পেশাল করে তোলার জন্যই এমনটা করেন প্রীতম। আপ্লুত সোনেলাও। বিয়ের দিনও ঠিক হয়ে গিয়েছে। ১৭ এপ্রিল বালির জেটিয়াতে সাত পাকে বাধা পড়বেন প্রীতম-সোনেলা।
কীভাবে প্রপোজ করেন প্রীতম?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ছবি। হাঁটু গেড়ে বসে বান্ধবীর হাতে আংটি পরিয়ে দেন প্রীতম। মাঠের মধ্যেই এনগেজমেন্ট হয় প্রীতম-সোনেলার। এরপর একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কিস করেন। বিদেশের ফুটবলে এই দৃশ্য একেবারেই নতুন নয়। তবে ভারতীয় ফুটবলে এমন দৃশ্য প্রায় দেখা যায় না। প্রীতমকে হাসিমুখে জড়িয়ে ধরেন সোনেলাও। তিনি বলেন, 'এটা আমার কাছে একেবারে সারপ্রাইজ ছিল। ভাবতেই পারিনি এমন গিফট পাবো।' অন্যদিকে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন প্রীতম। তিনি বলেন, 'আমি আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম। জিততে পারলে মাঠেই প্রোপজ করব। আর সেটাই করেছি।'
আরও পড়ুন: ISL জিততেই জাতীয় দলে ডাক পেলেন মোহনবাগানের প্রীতম
এবারের আইএসএল-এ মোহনবাগানের পারফরম্যান্স গ্রাফ মাঝে অনেকটাই নেমে গিয়েছিল। তবে খাদের কিনার থেকে উঠে আসে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সেখান থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া মুখের কথা নয়। যদিও নিজেদের প্রতি বিশ্বাস হারাননি মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল। ফাইনালের আগেও আত্মবিশ্বাস ছিল মোহনবাগান ক্যাপ্টেনের গলায়।
আরও পড়ুন: ISL জয়ী মোহনবাগান ক্লাবে ফুল-মিষ্টি নিয়ে হাজির ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা, VIDEO
মোহনবাগান সমর্থকদের আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা এটিকে নাম তুলে নেওয়ায়। মোহনবাগান সুপার জায়েন্টস নামে পরের মরশুম থেকে খেলবে সবুজ-মেরুন ক্লাব। গত বছর পুজোর মরশুম থেকে এটিকে সরানোর দাবি জোরালো হয়েছে ক্রমশ। গতবার ডার্বির সময়, 'রিমুভ এটিকে' টিফো দেখা গিয়েছিল যুবভারতীতে। লক্ষ্মী পুজোর দিন, এই দাবিতে মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্তের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন সমর্থক। মোহনবাগান ক্লাবের বাইরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। ক্লাবের তরফ থেকে ধরনের বিক্ষোভ নিয়ে সমালোচনাও করা হয়। সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ দাবিকে সমর্থন জানালেও এমন আন্দোলনের তীব্র বিরোধিতা করেন। পরে উৎসবের মরশুম শেষ হয়ে যাওয়ার পর বৈঠকে বসে মোহনবাগানের এক্সিকিউটিভ কমিটি।