ভুল পেনাল্টি ঘোষণা করার অভিযোগে রেফারিকে মাঠে ফেলে বেধড়ক মারধর। শোরগোল ফেলে দেওয়া এই ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে।
জানা গিয়েছে, সুপার ডিভিশনের ফাইনাল ম্যাচ চলছিল নৈহাটির ওই স্টেডিয়ামে। আচমকাই রেফারির একটি সিদ্ধান্ত ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে। বেলঘড়িয়া অ্যাথলেটিক ক্লাবের সঙ্গে ম্যাচ ছিল খড়দার সূর্য সেন স্পোর্টিং ক্লাবের। ৭১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় বেলঘড়িয়া অ্যাথলেটিক ক্লাব। কিন্তু রেফারির ওই সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি খড়দার সূর্য সেন স্পোর্টিং ক্লাবের
খেলোয়াড়দের। ভুল সিদ্ধান্তের অভিযোগ তুলে রেফারিকে মারধর করা হয় মাঠের মধ্যেই।
জানা গিয়েছে, দ্বিতীয়ার্ধে ওই পেনাল্টিটি দেন রেফারি। তারপরই মাঠে ধুন্ধুমার কান্ড | প্রথমে সূর্য সেন ফুটবল ক্লাবের কিছু খেলোয়াড় রেফারি চরণ হেমব্রমকে হেনস্থা করা শুরু করে বলে অভিযোগ। এরপর গ্যালারি থেকেও একদল সমর্থক মাঠে ঢুকে পরে। সূর্য সেন স্পোর্টিং ক্লাবের গোলকিপার এবং এক খেলোয়াড় লাল কার্ডও দেখেন। যদিও ততক্ষণে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও খেলা অব্যাহতথাকে। বেলঘড়িয়া ৩-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়| ম্যান অফ দি ম্যাচ হয় বেলঘড়িয়ার মোহন সরকার |
এদিকে, আহত অবস্থায় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে রেফারি চরণ হেমব্রমকে। এই অপ্রীতিকর ঘটনা প্রসঙ্গে IFA সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, 'এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। এটা কোনও ভাবেই কাম্য নয়। রেফারিরা মাঠে আসেন, ব্য়ালান্স করে খেলান। যাতে সুষ্ঠভাবে খেলা পরিচালিত হয়। মাঠে ঢুকে রেফারিকে মারব, এটা কোনও ভাবেই হতে পারে না। আমার মনে হয় দোষীদের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি নেওয়া উচিৎ। তাহলেই ভবিষ্যতে আর কেউ এমনটা করবেন না।'
আহত রেফারিকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছন নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে। তিনি মাঠেও উপস্থিত ছিলেন। বিধায়কের কথায়, 'সুপার ডিভিশনের ম্যাচ ছিল। বেলঘড়িয়া অ্য়াথলেটিক ক্লাব ও খড়দা সূর্যসেন ক্লাবের মধ্যে খেলা চলছিল। খেলার ৭১ মিনিটের সময় হঠাৎ দেখতে পেলাম যে সূর্যসেন স্পোর্টিংয়ের যে গোলরক্ষক, তিনি রেফারিকে সজোরে লাথি মারেন। একই সঙ্গে ক্লাবের এক কর্তাও মাঠে চলে আসেন। তিনিও রেফারিকে মারতে থাকেন।' নৈহাটির ঘটনার তীব্র সমালোচনা করছে ক্রিড়া মহল।