ঋত্বিক দাসের (Rittiwk Das) সঙ্গে চুক্তি আরও বাড়িয়ে নিল জামসেদপুর এফসি (Jamshedpur FC)। শোনা গিয়েছিল বাঙালি এই ফুটবলারকে দলে নিতে চেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। তবে সেই ডিল কনফার্ম হওয়ার আগেই আরও চার বছরের জন্য নিজের ক্লাবেই থেকে গেলেন ঋত্বিক। যদিও এখনও সরকারিভাবে কিছুই ঘোষণা হয়নি।
ইস্টবেঙ্গল কীভাবে ঋত্বিককে দলে নিতে পারে?
ঋত্বিককে দলে নিতে হলে জামসেদপুরকে ট্রান্সফার ফি দিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। চার বছরের চুক্তি হয়ে যাওয়ায়, সেই ট্রান্সফার ফি বেশ বেশি। তবে শুধু ঋত্বিক নয়, ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) সঙ্গে রহিম আলির (Rahim Ali) কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। তবে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে বা রহিমের ক্লাবের পক্ষ থেকে এখনও সরকারিভাবে জানানো হয়নি।সূত্রের খবর চেন্নাইয়েনের এই স্ট্রাইকারকে দলে নিতে হলে একটা শর্ত মানতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে।
আরও পড়ুন: রহিম আলির জন্য মোটা অঙ্কের ট্রান্সফার ফি চাইল চেন্নাইয়েন, নিতে পারবে ইস্টবেঙ্গল?
কী শর্ত মানতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে?
চেন্নাইয়েন এফসি-র (Chennaiyin FC) দাবি ছিল, শুধু রহিম আলির ট্রান্সফার ফি দিলেই হবে না। কোনও এক ফুটবলারকেও ছাড়তে হবে চেন্নাইয়েনে। সেটা মেনে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ফলে রহিমের ইস্টবেঙ্গলে আসা প্রায় নিশ্চিত। তবে কার জায়গায় রহিম আসছেন। অর্থাৎ কাকে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে দিচ্ছে সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে নাওরেম মহেশ সিং (Naorem Mahesh Singh) ইস্টবেঙ্গলেই থাকছেন বলে সূত্রের খবর। গোলরক্ষকের ক্ষেত্রে কর্তাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন প্রভসুকান সিং গিল। তবে তাঁকে নিতে হলে বিরাট অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। সেই জন্যই এখন মহম্মদ নাওয়াজকে সই করানোর চেষ্টা করছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। যদিও কমলজিৎ হয়ত থাকছেন।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের নজরে আরও ২ মিডফিল্ডার, ঘুরে দাঁড়াবে?
গোলরক্ষকের জন্য অমরিন্দারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। যদিও আরও কিছুটা সময় চাইছেন অমরিন্দার। তাই এই দু'জনের পাশাপাশি নওয়াজ সঙ্গেও কথাবার্তা বলে রাখছে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। কোচ নিয়োগের আগেই ওড়িশা এফসি-র নন্দকুমার এবং চেন্নাইয়েন এফসি-র রাইটব্যাক এডুইন ভ্যান্সপালকে ক্লাব আগেই চূড়ান্ত করে ফেলেছে। কুয়াদ্রাত এই দুই ফুটবলারের চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। বিশেষ করে নন্দকুমারের রিক্রুটে স্প্যানিশ কোচ দারুণ খুশি। এমনটাই খবর সূত্রের।