
মাস্টার ব্লাস্টারের জন্মদিন (Sachin Tendulkar Birthday)। দেশ তো বটেই, আপামর ক্রিকেটবিশ্বই কুর্নিশ ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন সচিন তেন্ডুলকারকে (Sachin Tendulkar)। আজ অর্থাত্ ২৪ এপ্রিল ৫০ বছরে পা দিলেন সচিন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেরিয়ার শুরু করে টানা ২৪ বছরের বেশি ভারতীয় দলে দাপটের সঙ্গে কাটিয়েছেন।
সচিন-কাম্বলির সেই রেকর্ড
আর সচিনের কেরিয়ার শুরুর প্রসঙ্গ উঠলে বিনোদ কাম্বলির প্রসঙ্গ চলে আসে অচিরেই। সচিন-কাম্বলির ৬৬৪ রানের সেই বিশ্বরেকর্ড। ওই বিশ্বরেকর্ডে সচিনের রান ছিল ৩২৬ ও কাম্বলির রান ছিল ৩৪৯। আর সচিন-কাম্বলির রেকর্ডের রূপকথা লিখতে যে মানুষটি বড় ভূমিকা নিয়েছিল, তাঁর নাম মার্কাস কাওটো। সচিনের জন্মদিনেই জেনে নেওয়া যাক, কে মার্কাস কাওটো।
কে এই মার্কাস কাওটো?
সচিন ও বিনোদ কাম্বলির সেই ঐতিহাসিত পার্টনারশিপ বিশ্বের দরবারে পরিচিতিই পেত না, যদি না মার্কাস থাকতেন। মার্কাস ছিলেন মুম্বইয়ের ওই ম্যাচটির আম্পায়ার। ক্রিকেটের বাইবেল বলা হয় যে পত্রিকাকে, সেই উইজডম পত্রিকাতেও সচিন ও কাম্বলির কীর্তি প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু মার্কাস কাওটো জাত চিনেছিলেন দুজনেরই। ওই রেকর্ডের খবর বিশ্ববাসীকে জানাতে একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েন মার্কাস। মার্কাসের বক্তব্য, স্কোরকার্ডে কিছু গড়বড় হয়ে গিয়েছিল। তাই স্কোর মেলানোর জন্য মার্কাস সচিনের ৩২৬ রানের স্কোর থেকে ৩ রান কমিয়ে দেন। সচিনের দাবি ছিল, ম্যাচে অতিরিক্ত রান থেকে ৩ রান কমানো উচিত ছিল। আজ মার্কাসের সঙ্গে দেখা হলে, সেই প্রসঙ্গ তুলে মজা করেন সচিন।
সাইরাজ বাহুতুলে বেধড়ক মার খেয়েছিলেন
বিনোদ কাম্বলি এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, 'আমাদের কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ওই পার্টনারশিপ। ভারতীয় দলে দরজা খুলে গিয়েছিল। একবার সেট হওয়ার পর তেন্ডলা (সচিনকে এই নামেই ডাকেন কাম্বলি) আর আমি জমিয়ে ব্যাট করেছিলাম। বাহুতুলেকে ছক্কা মারল সচিন। আমিও তারপর শুরু করলাম। প্রথম দিনে আমি ১৯২ রান ও সচিন ১৮২ রানে নট আউট ছিলাম।'