ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সর্বকালের সেরা ব্যাটার সচিন তেন্ডুলকরের সম্পর্কের কথা সকলের জানা। দীর্ঘদিন একসঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন দুই তারকা। শুধু ক্রিকেট মাঠে নয়, তার বাইরেও দুই তারকার সম্পর্ক খুবই ভালো। তবে প্রথমবার সচিনকে সামনে থেকে দেখার অভিজ্ঞতা ভয়ঙ্কর ছিল সৌরভের জন্য। সেই ঘটনার কথা সৌরভ শেয়ার করেছেন এক ইউটিউব চ্যানেলে।
বন্ধুত্বের শুরুর দিকের কথা মনে পড়তেই নস্টালজিক হয়ে পড়েছেন সৌরভ। তিনি জানিয়েছেন, 'কানপুরে বিসিসিআই আয়োজিত একটি জুনিয়র টুর্নামেন্টে আমাদের প্রথমবার দেখা হয়। তারপর ইন্দোরে ক্যাম্পে বেশ কিছুদিন আমরা একসঙ্গে ছিলাম। সেই সময়ই আমাদের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। আমরা একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম। এরপর আমরা স্টার ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্ট খেলতে ইংল্যান্ডে যাই। ইন্দোরে একদিন দুপুরে আমি ঘুমাচ্ছিলাম। যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখি, আমার গোটা ঘর জলে ভেসে যাচ্ছে। বুঝতেই পারছিলাম না কোথা থেকে এত জল এল?'
আরও পড়ুন: সৌজন্যটুকুও নেই? ম্যাচ শেষ হতে এ কী করলেন সৌরভ-বিরাট!
সৌরভ আরও বলেন, 'আমার স্যুটকেসটাও জলে ভাসছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম বোধহয় বাথরুমের পাইপ ফেটে গিয়েছে। বাথরুমে গিয়ে দেখি শুকনোই রয়েছে। তা হলে এত জল এলো কোথা থেকে এই কথা যখন ভাবছি তখনই দেখি বালতি হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে সচিন আর বিনোদ কাম্বলি। আমাকে বলছে, টেনিস বলে ক্রিকেট খেলব চলো। আমি বললাম আমায় এমনি ডাকলেই তো হত। জল ঢালার দরকার কী ছিল?' এভাবেই পরিচয় হয় দুই তারকা ক্রিকেটারের। সচিনকে প্রথমবার সামনে থেকে দেখার কথাও শেয়ার করেছেন টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সফল ক্যাপ্টেন। সৌরভ বলেন, 'প্রথমবার সচিনকে দেখেছিলাম, লম্বা লম্বা চুল...'
আরও পড়ুন:আউট হয়েই মেজাজ হারালেন নীতিশ, MI স্পিনারকে বললেন...
অন্যদিকে সচিনও কিছুদিন আগে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে এসে বোর্ড সভাপতির চেয়ারে বসা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মজার আরও এক ঘটনার কথা তুলে ধরেন সচিন। মাস্টার ব্লাস্টার্সকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, 'সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রজার বিনি এঁরা প্রাক্তন ক্রিকেটার পরে বোর্ড সভাপতি হয়েছেন। আপনিও কি বোর্ডের দায়িত্ব নিতে চান?' উত্তরে দারুণ এক ঘটনার কথা তুলে ধরেন সচিন। তিনি বলেন, ' 'আমি কোনওদিন ফাস্ট বোলার ছিলাম না। সৌরভ নিজেকে আজও ফাস্ট বোলার বলেই দাবি করে। টরেন্টোতে দারুণ বল করেছিল। তারপর ও আমায় বলতে থাকে, আরও একটু পরিশ্রম করতে পারলে আমি ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারি। আমিও বলেছিলাম, তুমি পারবে। এরপর দুইদিন ও চেষ্টাও করেছিল। এরপর পিঠে ব্যথা শুরু হয়। তারপর থেকে আর ও ১৪০-এর গতিতে বল করার কথা বলে না।' এরপর সচিন বলেন, 'আমি ১৪০-এর গতিতে বল করতে পারি না।' এই উত্তরে সচিন বুঝিয়ে দেন, বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট পদ নিয়ে কিছুই ভাবেননি সচিন।