বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (BCCI) সচিব জয় শাহের বক্তব্যে একেবারেই খুশি নয় পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। জয় শাহ বলেছিলেন যে পরবর্তী ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (FTP) আইপিএলের জন্য আড়াই মাসের উইন্ডো থাকবে। জয় আরও বলেছিলেন যে, ভারতীয় বোর্ড ইতিমধ্যে আইসিসির সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
জয় শাহের বক্তব্যের পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (PCB) প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। জুলাইয়ে বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমসের সময় আইসিসি বোর্ড সভায় বিষয়টি তুলে ধরবে পিসিবি। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদিও এই বিষয়টি নিয়ে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেছেন। আফ্রিদি বলেন, ভারত ক্রিকেটের বাজার, তাই তারা যা চাইবে তাই হবে।
এমনটাই জানিয়েছেন আফ্রিদি
সামা টিভির শো গেম সেট ম্যাচে আফ্রিদি বলেন, “এটা পুরোপুরি বাজার এবং অর্থনীতির ব্যাপার। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত। তারা যা বলবে তাই হবে।' আইপিএল টিভির স্বত্ব অধিগ্রহণ করেছে। বিসিসিআই এই পুরো চুক্তি থেকে ৪৮,৩৯০ কোটি টাকা আয় করেছে।
জয় শাহের বক্তব্য
জয় শাহ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছিলেন, "বিসিসিআই কখনই মনে করেনি যে মিডিয়া রাইটসের ভিত্তি মূল্য খুব বেশি। এটা বুঝতে হবে যে ২০১৮ সালে ৬০টি ম্যাচ খেলা হয়েছিল। আগামী মরশুমে আমাদের ৪১০টি ম্যাচ হবে। ২০১৭ সালে প্রায় ৫৬ কোটি ডিজিটাল ভিউয়ার ছিল এবং ২০২১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ৬৬.৫ কোটি হয়েছে। আগামী বছরগুলোতে এটা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।'
শাহ বলেছিলেন, "২০২৭ সালে আইপিএলে ৯৪টি ম্যাচ খেলা হবে। আমরা এই দিকটি নিয়ে কাজ করেছি। পরবর্তী আইসিসি এফটিপি ক্যালেন্ডারে আইপিএলে একটি আনুষ্ঠানিক আড়াই মাসের উইন্ডো থাকবে। যাতে সমস্ত শীর্ষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা অংশগ্রহণ করতে পারেন। বিভিন্ন বোর্ড ছাড়াও আমরা আইসিসির সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা করেছি।''
আরও পড়ুন: আম্পায়ারের সঙ্গে ঝামেলা ব্রেথওয়েটের, VIDEO
আরও পড়ুন: রাহুলের চোট, ইংল্যান্ডে রোহিতের সঙ্গে ওপেনার কে?
২০০৮ সালে আফ্রিদি অংশ নেন
রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আইপিএলে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা শুধুমাত্র আইপিএল ২০০৮-এ অংশগ্রহণ করেছিল। এরপর শহিদ আফ্রিদি ছাড়াও এই মেগা টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নেন সালমান বাট, শোয়েব আখতার, কামরান আকমল ও সোহেল তানভীর।