ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি ফাইনালের স্মৃতিচারনা করতে গিয়ে বীরেন্দ্র সেহওয়াগের একটা মজাদার গল্প শোনালেন। তিনি জানালেন, ওই ম্যাচে কীভাবে অধিনায়কত্ব করতে হবে, সেটা নাকি সেহওয়াগই তাঁকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। এই ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দল ৩২৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে জয়লাভ করেছিল। সৌরভ এবং সেহওয়াগের লম্বা জুটির দৌলতেই ভারত এই জয়ের ভিত তৈরি করতে পেরেছিল।
লর্ডসে আয়োজিত এই ম্যাচে যুবরাজ সিং এবং মহম্মদ কাইফ অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন। তাঁদের এই ইনিংসের দৌলতেই ভারতীয় ক্রিকেট দল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় লাভ করে। একটা সময় তো ভারতীয় ক্রিকেট দলের মিডল অর্ডারে বেশ কয়েকটা উইকেট তাড়াতাড়ি পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু, কাইফ এবং যুবরাজের এই জুটি ভারতকে জয়ের একেবারে কিনারায় নিয়ে আসে।
এর পরেও ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই জয়ের কৃতিত্ব সেহওয়াগকেই দিতে চান। সৌরভের কথায়, এই ম্যাচে কীভাবে অধিনায়কত্ব করতে হবে, সেটা নাকি সেহওয়াগই তাঁকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। সৌরভ একটা ইউটিউব চ্যানেলে একট্রা ক্লাস অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে বললেন, আমরা ফাইনাল ম্যাচে ৩২৬ রান তাড়া করছিলাম। আমি যখন ওপেনিং করতে যাচ্ছিলাম তখন আমি যথেষ্ট হতাশ এবং চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু, সেহওয়াগ আমাকে বলেছিল যে আমরাই জিতব। আমরা শুরুটা বেশ ভালো করেছিলাম। ১২ ওভারেই ৮২ রান উঠেছিল। সৌরভ আরও জানান যে নতুন বোলারদের আমাদের দেখে খেলতে হবে এবং উইকেট হারালে চলবে না। সিঙ্গলসের উপরেই আমাদের ফোকাস করতে হবে।
#OnThisDay in 2002.. #TeamIndia scripted history by winning the Natwest Trophy final at Lord's 🇮🇳👏pic.twitter.com/jKeFXEmCgk
— BCCI (@BCCI) July 13, 2020
মহারাজ আরও যোগ করেন, যখন রনি ইরানি বল করতে এসেছিলেন তখন ওর প্রথম ডেলিভারিতেই সেহওয়াগ বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। এরপর তিনি সৌরভ সেহওয়াগের কাছে যান এবং পরামর্শ দেন যে একটা বাউন্ডারি যখন এসেই গেছে তখন সিঙ্গলস নিয়েই এবার কাজ চালাতে হবে। কিন্তু, সেহওয়াগ তাঁর কথা শোনেননি। ইরানির দ্বিতীয় বলেও বীরু বাউন্ডারি হাঁকান এবং তৃতীয় বলেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
Natwest Trophy Final, 3rd July, 2002. Nothing beats that. Unbelievable match unbelievable passion. pic.twitter.com/ufdaWS57rf
— Subhajeet (@iamBob_S) March 16, 2019
সৌরভ বলেন, "তখন আমি যারপরনাই রেগে যাই। পঞ্চম বলেও ও বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিল।" এরপর সৌরভ বুঝতে পারেন যে সেহওয়াগকে পরামর্শ দিয়ে কোনও লাভ নেই। কারণ ওর আক্রমণাত্মক খেলাটাই হল স্বভাবজাত। তিনি আরও যোগ করেন, একজন অধিনায়ককেও কখনও কখনও তাঁর দলের খেলোয়াড়ের মতো করেই চিন্তাভাবনা করতে হয়।