মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি২০ বিশ্বকাপে ( ICC Women Under 19 T20 World Cup) ভারতীয় দলে (Tram India) ছিলেন বাংলার তিন ক্রিকেটার। ছিলেন তিতাস সাধু (Titas Sadhu), রিচা ঘোষ (Richa Ghosh), ঋষিতা বসুরা (Hrishita Basu)। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জয় তো রয়েছেই, পাশাপাশি বাংলার মুখও উজ্জ্বল করেছেন এই তিন কন্যা। তাঁদের পুরস্কৃত করবে রাজ্য। সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বৈঠকের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শেফালি ভার্মা সহ তাঁর দলের সমস্ত খেলোয়াড়দের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান। তাঁদের আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎও কামনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ টি২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দল ইংল্যান্ডকে সাত উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে। ভারতীয় দলে বাংলার তিন তারকা রিচা, তিতাস এবং হৃষিতাকে এদিন অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, 'বাংলার তিন মেয়ে এবং কোচ রাজীব দত্তকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিচারা ফিরে এলে তাঁদের সম্বর্ধিত করবে রাজ্য সরকার।'
আরও পড়ুন: রোনাল্ডোকে দেখেই 'মেসি... মেসি চিৎকার, কী করলেন CR7? VIRAL VIDEO
১৮ বছর বয়সী তিতাস হুগলীর চুঁচুড়ার মেয়ে। ফাইনালের সেরা তিনিই। চার ওভার বল করে, মাত্র ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নেন তিতাস। শুরুতে অ্যাথলেটিক্স শিখলেও পরে ক্রিকেটকেই বেছে নেন তিতাস। তাঁর বাড়ির সকলেই মোবাইলের পর্দায় ফাইনালের দিকে চোখ রেখেছিলেন। ভারত জেতার পর আনন্দে ফেটে পড়েন তাঁরা। যদিও তিতাসের মা ভ্রমর সাধু বলেন, 'আমি খুশি, তবে ওকে আরও অনেক দূর যেতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে জিতেও সমালোচনার মুখে হার্দিক, কেন?
বাংলা দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লার হাত ধরে উঠে আসা ঋষিতা বসু থাকেন হাওড়ার বালিকুঠিতে। তিনিও ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যাটার হলেও দলের প্রয়োজনে উইকেট কিপিংও করতে পারেন ঋষিতা। ভারতের জয়ের পর থেকেই খুশির আমেজ তাঁর পরিবার ও পাড়ার প্রতিবেশীদের মধ্যে। একের পর এক বাজি ফাটছে তাঁর বাড়ির সামনে। মিষ্টি বিতরণ করছেন পরিবারের সদস্যরা।
বাংলার আরেক ক্রিকেটার রিচা ঘোষ বেশ পরিচিত নাম। ভারতের সিনিয়র দলে ইতিমধ্যেই ১৭টি একদিনের ম্যাচ ও ৩০টি টি২০ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন উইকেট কিপার ব্যাটার। শিলিগুড়ির মেয়ে বাংলা দলের হয়ে ভাল খেলার জন্য সুযোগ পেয়েছিলেন সিনিয়র দলে। শিলিগুড়িতে তাঁর বাড়িতেও উৎসবের আমেজ। বাড়ি ফিরলেই মা তাঁকে ফ্রায়েড রাইস আর চিলি চিকেন খাওয়াবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন।