scorecardresearch
 

Mohun Bagan: মোহনবাগানের 'সিনিয়র' ফরদিন-কিয়ানরা কেন জুনিয়র দলে? কারণ জানলে চমকে যাবেন

“সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল” সেই কবে থেকে ময়দানের সবুজ গালিচায় ঝড় তুলেছে ফুটবল। বাঙালির ফুটবল আবেগে অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে মোহন-ইস্ট। চুনি গোস্বামী, পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরজিত সেনগুপ্ত এবং সুভাষ ভৌমিক সহ একাধিক প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার এই বাংলা থেকেই উঠে এসেছেন। কিন্তু এখন ভালো বাঙালি স্ট্রাইকার এবং স্টপার কোথায়?  

Advertisement
কিয়ান নাসিরি ও ফরদিন আলি মোল্লা কিয়ান নাসিরি ও ফরদিন আলি মোল্লা
হাইলাইটস
  • উঠে আসছে না বাঙালি স্টপার, স্ট্রাইকার
  • জুনিয়র দলে কিয়ান ফরদিনরা

“সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল” সেই কবে থেকে ময়দানের সবুজ গালিচায় ঝড় তুলেছে ফুটবল। বাঙালির ফুটবল আবেগে অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে মোহন-ইস্ট। চুনি গোস্বামী, পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরজিত সেনগুপ্ত এবং সুভাষ ভৌমিক সহ একাধিক প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার এই বাংলা থেকেই উঠে এসেছেন। কিন্তু এখন ভালো বাঙালি স্ট্রাইকার এবং স্টপার কোথায়?  

বহুদিন ধরেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভালোমানের বাঙালি স্ট্রাইকার কিংবা স্টপার নিয়ে সমস্যা চলছেই। গত বছরের অক্টোবরে, মোহনবাগানে অনূর্ধ্ব-১৭ (Mohun Bagan U-17) ফুটবলারদের নিয়ে ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্বেও প্রচুর ফুটবলার যোগ দেন এই ট্রায়াল ইভেন্টে। প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি ফুটবলার ট্রায়াল দিতে আসেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভালোমানের স্ট্রাইকার এবং স্টপার পেল না বাগান শিবির। 

আরও পড়ুন: পিছিয়ে থেকেও ড্র, মদ্রিচ-ভিনিশিয়াশদের ক্লাবকে নাস্তানাবুদ করল ভারত

তার প্রমাণ পাওয়া গেছে ডেভেলপমেন্ট লিগেও। দেখা যাচ্ছে, কিয়ান নাসিরি (Kiyan Nassiri) এবং ফারদিন আলি মোল্লাকে (Fardin Ali Molla) সিনিয়র দলেও রাখা হচ্ছে। আবার তাঁদেরকেই নিয়ে আসা হচ্ছে ডেভেলপমেন্ট লিগের ম্যাচে। কিছু ফুটবলার এটিকে অ্যাকাডেমি (ATK Academy) থেকে উঠে আসলেও, এই ট্রায়াল পর্ব থেকে ভালো স্ট্রাইকার এবং স্টপার তুলে আনতে পারেননি কর্তারা। 

বিষয়টা ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে? তাহলে কি বাঙালি ছেলেদের মধ্যে এই দুই পজিশনে খেলার প্রবণতা কমছে? নাকি যারা ট্রায়াল দিতে আসছে, তাঁদের পারফরম্যান্স আপ টু দ্যা মার্ক নয়। ফুটবল মাঠে বাঙালিদের সুদিন কবে ফিরবে, সেই প্রশ্নই এখন ফুটবলপ্রেমীদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। যদি ভারতীয় দলের দিকে তাকানো যায়, তাহলে সেখানেও বাঙালি ফুটবলারদের সংখ্যা হাতে গোনা বা প্রায় নেই বললেই চলে।  

Advertisement

আরও পড়ুন: ATK অতীত, কেমন হতে পারে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টসের জার্সি?

বিশেষ করে দেশের ক্লাবগুলি, এই দুটি পজিশনে অনেকক্ষেত্রেই বিদেশি ফুটবলারদের ওপর বেশি ভরসা করে। যার ফলে স্থানীয় ফুটবলারদের উঠে আসার ক্ষেত্রে এটি একটি চ্যালেঞ্জ। আর এর জেরেই, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (All India Football Federation) একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। ফেডারেশন অনুমোদিত সমস্ত রাজ্য এবং জেলা লিগে শুধু স্থানীয় ফুটবলারদেরই খেলাতে হবে, কোনও বিদেশি খেলানো যাবে না। যদি এই নিয়ম কার্যকরী হয়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে ফুটবলের উন্নতির জন্য ভালো খবর। 

ভবিষ্যতে বিষয়টি কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা সময় বলবে। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন পজিশনে বাঙালি ফুটবলারদের অভাব স্পষ্ট।

Advertisement