সেমিফাইনাল সহ এবারের বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচ পেয়েছে ইডেন গার্ডেন্স। তবে ইডেনের ম্যাচের টিকিট নিয়ে সমস্যা থামছে না। বিশ্বকাপ টিকিটের সংখ্যা কমানোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে সভা বসে সিএবিতে। সেই বৈঠকেও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
সেখানে বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলার প্রাক্তন ভারতীয় টিমের ক্রিকেটাররাও ছিলেন। টিকিট কমানো ও বণ্টন নিয়ে আলোচনায় এক ক্লাব কর্তার সঙ্গে প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক মালহোত্রার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সিএবির কর্তারা অবশ্য এই বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাতে নারাজ। বৈঠকে এমন হতেই পারে বলে জানালেন এক কর্তা। একই সঙ্গে আগের থেকে কম টিকিট দেওয়ার বিষয়টিও ক্লাব কর্তাদের বুঝিয়ে মীমাংসা করা যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে কমার পরে টিকিট সংখ্যা কী হবে, তা এখনও অজানা। কারণ বোর্ড থেকে এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি এখনও।
সমস্যা মেটাতে বিসিসিআই সচিব জয় শাহর সঙ্গে আমেদাবাদে বৈঠক করেছেন সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তাতেও সমস্যা সমাধান হয়নি। আইসিসির পক্ষ থেকে ১০ টি স্টেডিয়ামের ৩০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রির জন্য বলা হয়েছিল। সেইমতো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সমস্ত বিশ্বকাপ আয়োজক রাজ্য সংস্থা গুলিকে নির্দেশ পাঠায়। ইতিমধ্যেই অনলাইনে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের দু দফায় টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়েছে।
অনলাইনে টিকিট আসার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। চাহিদা মেটাতে আরও টিকিট অনলাইনে দুই দফায়
ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। আর তারপরেই শুরু হয়েছে জটিলতা। সেই দুই দফায় ইডেনের ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্দেশ মত তিরিশ শতাংশ টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া সম্ভব নয় বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে সিএবি । কারণ সিএবির অনুমোদিত ক্লাব এবং অন্যান্য সংস্থার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান কোটার টিকিট বরাদ্দ রাখতে হয়।
চেয়ার বসানোর পরে ৬৫ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারেন। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ টিকিট বিক্রির জন্য দিতে হলে সেটা প্রায় ১৯ হাজার ৫০০। এছাড়াও আইসিসি এবং বিসিসিআই তাদের নিজেদের জন্য বক্স এবং বিভিন্ন প্রাইজ টিকিট মিলিয়ে প্রায় সাড়ে আট হাজার টিকিট তুলে নিয়েছে। ফলে সিএবির হাতে পড়ে থাকছে মাত্র ৩৭ হাজার টিকিট। ফলে টিকিট বরাদ্দ নিয়ে জটিল এক অঙ্কের সামনে সিএবি।