দীর্ঘদিন ধরে যন্তরমন্তরে প্রতিবাদ চালাচ্ছেন ভারতের পদকজয়ী কুস্তিগীররা। এতদিন ধরে বিভিন্ন ক্রীড়াবিদদের সমর্থন পেলেও, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা এই ব্যাপারে নীরব ছিলেন। তবে এবার কুস্তিগীরদের পাশে এসে দাঁড়ালেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকা কুস্তিগীরদের সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি জারি করেছেন তাঁরা।
ভারতের হয়ে পদক জেতা সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia), ভিনেশ ফোগট (Vinesh Phogat) কুস্তিগীরদের এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ এঁদের সকলেই দাবি ডাব্লুএফআই-র প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের গ্রেফতারি৷ তাঁর বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগীরদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। ৩০ মে প্রতিবাদী রেসলাররা হরিদ্বারে গিয়ে গঙ্গায় নিজেদের পদক ভাসিয়ে দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন৷ বিশ্বকাপজয়ী তারকাদের মধ্যে অধিনায়ক কপিল দেব যেমন রয়েছেন, ঠিক তেমনিই ভাবেই রয়েছেন সুনীল গাভাস্কারের (Sunil Gavaskar) মতো ক্রিকেটাররাও। মুখ খুলেছেন বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনিও। ২৮ মে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন কুস্তিগীররা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনুমতি না নিয়েই সংসদ ভবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কুস্তিগীররা।
আরও পড়ুন: টি-শার্টের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দেওয়া, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মেয়ে কুস্তিগীরদের ঠিক কী কী অভিযোগ?
সেই সময় দিল্লি পুলিশের আচরণ নিয়েও মুখ খুলেছেন ’৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী সদস্যরা। বিশ্বকাপজয়ী সদস্যরা জানিয়েছেন, ‘আমাদের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগীরদের মারধরের অপ্রীতিকর দৃশ্য দেখে আমরা ব্যথিত এবং বিরক্ত। আমরা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন যে তারা তাদের কষ্টার্জিত পদক গঙ্গাতে ফেলে দেওয়ার কথা ভাবছে। এই পদকগুলো তো শুধু পদক নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বছরের পর বছর প্রচেষ্টা, ত্যাগ, সংকল্প এবং দৃঢ়তা। আর এই পদক কেবল তাদের নিজস্ব নয়, জাতির গর্ব ও আনন্দ। আমরা তাদের এই বিষয়ে কোন তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি এবং আশা করি তাদের অভিযোগ দ্রুত শোনা হবে এবং সমাধান করা হবে। দেশের আইনকে প্রাধান্য দিন।‘
আরও পড়ুন: 'ওদের প্রতিদিন মারা হচ্ছে', কুস্তিগীরদের সমর্থনে কলকাতায় মিছিল মমতার
শুক্রবার এক বিজেপি সাংসদও ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের গ্রেপ্তারি দাবি করেছেন। যদিও এখনও কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি রেসলিং ফেডারেশনের উদ্দেশ্যে।