আশঙ্কাই সত্যি হল, ভারতীয় দলকে হোয়াইটওয়াশ করে দিল নিউজিল্যান্ড। ৩ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের শীর্ষস্থান খোয়াল টিম ইন্ডিয়া। বর্ডার গাভাসকর ট্রফির আগেই ডব্লিউটিসি-র পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে নেমে যায় ভারতীয় দল। রোহিতদের পতনে বিরাট সুবিধা হল অস্ট্রেলিয়ার। তারা উঠে গেল শীর্ষে।
ফাইনালে যেতে আর ক'টা ম্যাচ জিততে হবে ভারতকে
১৪ ম্যাচে ভারতের সংগ্রহ ৯৮ পয়েন্ট। টিম ইন্ডিয়ার পয়েন্ট সংগ্রহের শতকরা হার ৫৮.৩৩। যদিও ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এখনও। কেননা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ক্রমতালিকা তথা ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হয় সংগৃহীত পয়েন্টের নিরিখে নয়, বরং পয়েন্ট সংগ্রহের শতকরা হার অনুযায়ী। লিগ টেবিলের প্রথম ২টি দল নিজেদের মধ্যে খেতাবি লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়। ভারতকে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে নিউজিল্যান্ড লিগ টেবিলের চার নম্বরে উঠে আসে। ১১ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহে রয়েছে ৭২ পয়েন্ট। কিউয়িদের পয়েন্ট সংগ্রহের শতকরা হার ৫৪.৫৫। ফলে ভারতীয় দলকে সয়াসরি খেলতে হলে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের সিরিজের চার ম্যাচ জিততে হবে। আর তা না হলে অন্য দলগুলির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির আগে মানসিকভাবে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির আগেই মানসিকভাবে বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে যায় নিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহে রয়েছে ১২ ম্যাচে সাকুল্যে ৯০ পয়েন্ট। অজিদের পয়েন্ট সংগ্রহের শতকরা হার ৬২.৫০। এখনও লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে শ্রীলঙ্কা। আপাতত ৯ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দখলে রয়েছে ৬০ পয়েন্ট। তাদের পয়েন্ট সংগ্রহের শতকরা হার ৫৫.৫৬। আট ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার খাতায় রয়েছে ৫২ পয়েন্ট। তাদের পয়েন্ট সংগ্রহের শতকরা হার ৫৪.১৭। দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের পাঁচ নম্বরে। ইংল্যান্ড রয়েছে লিগ টেবিলের ছয় নম্বরে। ১৯ ম্যাচে ব্রিটিশদের খাতায় রয়েছে ৯৩ পয়েন্ট। তাদের পয়েন্ট সংগ্রহের শতকরা হার ৪০.৭৯।