মাত্র ১৫ দিনের মাথায় তৈরি করতে হয়েছিল মারাদোনার মোমের মূর্তি। সেই মূর্তি দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন ফুটবলের ঈশ্বর দিয়াগো মারাদোনা। নিজের মোমের মূর্তি দেখে জড়িয়ে ধরিয়েছিলেন প্রতিরূপ মূর্তিটিকে। সেই সোনালী স্মৃতির কথা জানালেন আসানসোলের মোম ভাস্কর্য শিল্পী সুশান্ত রায়। ২০০৮ সালে কলকাতায় এসেছিলেন মারাদোনা। তৎকালীন ক্রীড়া মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী সুশান্ত রায়কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মারাদোনার মোমের মূর্তি তৈরি করতে। কিন্তু হাতে তখন মাত্র ১৮ দিন। শিল্পী জানান এত কম সময়ে মূর্তি তৈরি অসম্ভব। দেড় মাসের নীচে মোমের মূর্তি তৈরি করা যায় না। তবু মনের জোর ও অদম্য ইচ্ছায় মাত্র ১৫ দিনের মাথায় মোমের মূর্তির কাজ শেষ হয়। যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেই মূর্তিটি শিল্পীর হাতে দিয়েই দেওয়ানো হয় মারাদোনাকে। দোভাষির মাধ্যমে তিনি অসংখ্য ধন্যবাদ জানান মোম শিল্পী সুশান্ত রায়কে। সুশান্ত রায়ের আক্ষেপ ওই মূর্তিটি আর্জেনটিনা নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুভাষ চক্রবর্তী হঠাত করে মারা যাওয়ায় সেই মোমের মূর্তিটি শিল্পীর কাছেই থেকে যায়। বর্তমানে মারাদোনার ছোঁয়া ওই মূর্তিটি কলকাতার ওয়াক্স মিউজিয়ামে রয়েছে।