জিও সিনেমা অ্যাপে ফ্রিতে IPL দেখানো হচ্ছে। এই অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করে নিলেই কেল্লা ফতে। IPL-এর সবকটি ম্যাচই আপনি দেখতে পাবেন এক্কেবারে বিনামূল্যে। অন্তত এই দাবি করছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা জিও। কিন্তু একটু ভাবলেই বুঝতে পারবেন, ফ্রি বলে যেটাকে তুলে ধরা হচ্ছে, আসলে সেটা ফ্রি নয়। মানুষকে বোকা বানানোর একটা কৌশল। আর আপনার, আমার মতো দেশের কোটি কোটি মানুষকে বোকা বানিয়ে বিপুল পরিমাণ মুনাফা ঘরে তুূলছেন মুকেশ আম্বানি। ভাবছেন তো কী করে এটা সম্ভব? আসুন দেখে নেওয়া যাক। আগে টিভিতে ও অনলাইনে IPL দেখাতে সম্প্রচার সংস্থা স্টার স্পোর্টস IPL এর নিয়ামক সংস্থা BCCI কে 16 হাজার কোটি টাকা দিত। মুকেশ আম্বানি IPL এর ডিজিটাল সত্ত্ব পেয়ে খেলাটাই বদলে দিলেন। এবছর অনলাইনে শুধুমাত্র জিও সিনেমা অ্যাপে খেলা দোখানোর জন্য BCCI কে 23 হাজার কোটি টাকা দিয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা জিও। আর এরফলে চাপে পড়ে টিভিতে খেলা দেখানোর জন্য স্টার স্পোর্টসকেও 23 হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছে BCCI কে। তার মানে ভেবে দেখুন টিভি ও ডিজিটাল সত্ত্ব মিলিয়ে মোট 16 হাজার কোটি টাকা দিতে হত আগে। আর এখন IPL-এর টিভি ও ডিজিটাল সত্ত্বের জন্য 45-46 হাজার কোটি টাকা দিতে হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। পাঁচ বছরে IPL দেখানোর জন্য মুকেশ আম্বানি খরচ করেছেন 23 হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরে 4700 কোটি টাকা। আগে যখন হটস্টারে IPL দেখানো হত, তখন টাকা দিয়ে খেলা দেখতে হবে বলে বড়জোড় 30 কোটি গ্রাহক হটস্টারে খেলা দেখতেন। আর এবার জিও সিনেমা অ্যাপে ফ্রিতে খেলা দেখানো হবে ঘোষণা হতেই প্রায় 50 কোটি দর্শক এই অ্যাপ স্মার্ট ফোনে ডাউনলোড করে নিয়েছেন। এবার দেখে নেওয়া যাক বিজ্ঞাপনের বিষয়টি। IPL চলাকালীন প্রায় 500 সংস্থা বিজ্ঞাপন দেয়। সেই সেই বিজ্ঞাপনের রেট শুনলে রীতিমতো পিলে চমকে উঠবে আপনার। প্রতি 10 সেকেন্ডের জন্য রেট 25-30 লক্ষ টাকা। কিন্তু কোনও সংস্থাকে বিজ্ঞাপন দিতে গেলে কমপক্ষে এক মিনিটের স্লট বুক করতে হয়। ফলে ভেবে দেখুন টাকার অঙ্কটা কোথায় পৌঁছে যাচ্ছে। প্রায় দেড় কোটি। ফলে 500 সংস্থা বিজ্ঞাপন দিলে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন চালিয়েই IPL থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা তুলে নেবেন মুকেশ আম্বানি। এরপর আসা যাক ইন্টারনেট খরচের বিষয়টি। মোবাইলে IPL দেখতে হলে, নেট রিচার্জ করাতে হয়। 50 কোটি মানুষের মধ্যে বড়জোড় 5 কোটি মানুষের বাড়িতে ওয়াইফাই সংযোগ আছে। ফলে বাকি 45 কোটি মানুষ কিন্তু মোবাইল নেট খরচ করেই IPL দেখবেন। আর দৈনিক কোটায় বড়জোড় দেড় থেকে 2 জিবি ডেটা পাওয়া যায়। কিন্তু ভাল কোয়ালিটিতে খেলা দেখতে গেলে অতিরিক্ত নেট রিচার্জ আপনাকে করতেই হবে। আর এই 45 কোটির মধ্যে যদি 20 কোটি মানুষেরও জিও সিম থাকে মোবাইলে, তাহলে আম্বানির লাভের পরিমাণটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে শুধু ভাবুন। তাহলে বুঝলেন তো ফ্রি বলে আসলে কিছুই হয় না। আসলে সবই মানুষকে বোকা বানিয়ে মুনাফা ঘরে তোলার প্রক্রিয়া। আপনার কেমন লাগল বিষয়টি জেনে? কমেন্ট করে জানান আমাদের।
What do you thing are you watching IPL 2023 match free in jio.