লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই উদ্দেশ্যে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে। ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের পাঠাতে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। প্রথমেই ৩০০ কোম্পানি বাহিনী এসে পৌঁছোয়। কিন্তু এরপরেও বাকি বাহিনী কবে আসবে, তাই নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়। তবে পরে জানা যায়, আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছাবেন। এর মধ্যে ১৮৫ কোম্পানি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে।
ভোটের ঠিক এক দিন আগে, শুক্রবারও রাজ্যে আকাশপথে আসছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। লেহ থেকে বিশেষ বিমানে এয়ারলিফট করে আনা হয় তাঁদের। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ পানাগড়ে বিমানঘাঁটিতে এসে পৌঁছান তাঁরা। এরপর সেখান থেকে রওনা দিচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট বুথের সংখ্যা ৬১,৬৩৬টি। তার মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৪,৮৩৪টি।
এই স্পর্শকারত বুথগুলিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর(CAPF) বাড়তি নজরদারি তো থাকবেই, তার পাশাপাশি বেশি সংখ্যায় রাজ্য এবং অন্য রাজ্য থেকে আসা পুলিশ মোতায়েন থাকবেন।
কীভাবে নিরাপত্তা সাজানো হচ্ছে?
১. প্রত্যেক পোলিং বুঝে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সমান অনুপাতে থাকবেন।
২. ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ন্ত্রণেও জোর দেওয়া হচ্ছে। আগের বিভিন্ন বিরূপ পরিস্থিতির অভিযোগ থেকে শিক্ষা নিয়েছে কমিশন। আর সেই কারণেই ভোটের পরেও দশ দিন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সুপারিশ করেছে হাইকোর্ট।
৩. কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিটি সেটে ন্যূনতম ৪ জন জওয়ান থাকেন। তার কম জওয়ান থাকলে তাঁদের পক্ষে বিরূপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাহিনীর কর্তারা। ফলে কোনও নির্দিষ্ট ভোট কেন্দ্রে দুইটি পর্যন্ত বুথ প্রেমিস থাকলে তাতে হাফ সেকশন(৪ জন) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবেন। আবার ৩-৪টি হলে সেখানে ১ সেকশন(৮ জন) কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। এভাবে বুথ প্রেমিসের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা নির্ধারিত হবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে সমান সংখ্যায় পুলিশকর্মীরা থাকবেন।
৪. থাকছে স্ট্রং রুমও। সেখানেই ১ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবেন। কোনও অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হলে তাঁদের দ্রুত পৌঁছে যাওয়ার জন্য তৈরি রাখা হবে। ১ কোম্পানি মানে ১০০ জন জওয়ান।