১৭ অগাস্ট ২০২৩ এর বিকেলে বিক্রম ল্যান্ডারটি চন্দ্রযান-৩ এর প্রপালশন মডিউল থেকে আলাদা হয়ে যায়। তখন এটি চাঁদের একটি ছবি তুলেছিল। ভিডিওও করেছে। এর মধ্যে এক জায়গায় আমাদের পৃথিবীকেও উঁকি দিতে দেখা যায়। ডান উপরের কোণ থেকে। এই ভিডিও এবং ফটোগ্রাফগুলি চাঁদের পৃষ্ঠের একটি বিস্ময়কর দৃশ্য দেখায়।
১৮ অগাস্ট ২০২৩-এ, বিক্রম ল্যান্ডার তার কক্ষপথ হ্রাস করে। এখন চাঁদ থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১১৩ কিলোমিটার বাকি। ২০ অগাস্টে অদ্বিতীয় ডিবুস্টিং-এ এটিকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার উচ্চতায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে। এই ছবির উপরের ডান কোণে পৃথিবী দেখা যাচ্ছে।
এই ছবিগুলিতে বিক্রম ল্যান্ডারের দ্বারা বন্দি স্থানটি এটিই। তার মধ্যে দু-তিনটি গর্তের নামও দেওয়া হয়েছে। ইসরো জানিয়েছে এই গর্তগুলো কোনগুলো, এছাড়া পুরো ভিডিও জুড়ে চাঁদের পৃষ্ঠের বিভিন্ন দৃশ্য দেখা যাবে। এখন শুধু ২৩ তারিখের অপেক্ষা। অবতরণে করার সময়।
প্রপালশন এবং ল্যান্ডার মডিউল আলাদা করার গল্পটিও দুর্দান্ত। প্রকৃতপক্ষে, ইসরো ইতিমধ্যেই মহাকাশে দুটিকে আলাদা করার জন্য সিকোয়েন্স এবং কমান্ড লোড করেছিল। তিনি বিক্রমের প্রপালশন মডিউল এবং অনবোর্ড কম্পিউটারে ছিলেন। প্রপালশন মডিউলের উপরে সিলিন্ডারের মতো আকৃতিটি জ্বালানী ট্যাঙ্কের একটি এক্সটেনশন ছিল।
এর উপরে বিক্রম ল্যান্ডার রাখা হয়েছিল, যার ভিতরে রাখা হয়েছিল প্রজ্ঞান রোভার। এই মডিউলগুলি ক্ল্যাম্প এবং দুটি বোল্ট দিয়ে সংযুক্ত ছিল। ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-২-এর অরবিটার এবং ল্যান্ডারেও একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই clamps এবং bolts উভয় মডিউল একসঙ্গে রাখা।
প্রপালশন এবং ল্যান্ডার মডিউল একে অপরের থেকে আলাদা। এটি এই কৌশলটির সবচেয়ে সহজ, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং ১০০% সাফল্যের ইতিহাস। এই কৌশলটি বহু বছর ধরে মহাকাশ ভ্রমণে ব্যবহৃত হচ্ছে।