scorecardresearch
 
Advertisement
টেক

How To Earn Money From YouTube Instagram: FB-ইন্সস্টায় সোশ্যাল মিডিয়া স্টার হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাচ্ছেন অনেকে, সিক্রেট রইল

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টার হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামানোর সিক্রেট কী?
  • 1/8

How To Earn Money From YouTube Instagram

১. ইনস্টাগ্রাম রিল (Instagram Reels) হোক বা ইউটিউব ভিডিও (Youtube Video) এটা দেখতে গিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন আসে এ রকম তো আমিও করতে পারি। সোশ্যাল মিডিয়া কোনও অচেনাকে লোককে বড় পরিচিতি দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া, বড় অদ্ভুত। অনেকেই সাড়া জাগিয়ে হারিয়ে গিয়েছেন। আবার অনেকে মোটা টাকা আয় করছেন। এই প্লাটফর্মে মোটা টাকা আয়ের নানা রকম কাহিনী আমরা রোজ শুনতে পাই। কেউ বলে যে একটা ভিডিও থেকে লাখ টাকা আমদানি হয়। কেউ বলেন কোটি টাকা আমদানি হয়। কিন্তু এই নতুন মায়ানগরীর আসল ঘটনা কী? যা শুনতে পাই তা কি সত্যি?

এই ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন মায়ানগরী এ কারণে বলা হচ্ছে। কারণ অনেকেই এখন এখানে ক্যারিয়ার খুঁজছেন। অনেকে পপুলার হতে চান, তো অনেকে আয় করতে চান। কেউ কি কিছুদিন আগে পর্যন্ত ভাবতে পেরেছিলেন যে ছোট ছোট মোবাইলে ভিডিও করে তাতে নিজের ছবি দিয়ে বা চারটে কায়দা কসরত করে সংসার চালানো সম্ভব! কিন্তু এখন এরকমই হচ্ছে। আপনিও অনেকবার শুরু করার কথা ভেবে থাকবেন। কিন্তু কখনও কাজের চাপ, কখনও আলস্য বা দ্বিধা। এ সব কিছুর মধ্যে শুরু করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু অনেকেরই এই প্লাটফর্মের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘোরে। যার জবাব ঠিক মতো মেলে না। আমরা এমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য।

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টার হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামানোর সিক্রেট কী?
  • 2/8

২. স্স্তার স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের এই জমানায় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়া একটা বড় জনসংখ্যার স্বপ্ন। সস্তা ডাটা প্রাইস, লোকেদের ইন্টারনেটের ব্যবহার সহজ করে দিয়েছে। সেখানে youtube, instagram এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম মানুষের জন্য নতুন রাস্তা খুলে দিয়েছে। এক দশক পিছিয়ে গেলে আমরা ভাবতেও পারবো না যে, কখনও ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব আমাদের আয়ের মাধ্যম হয়ে উঠবে। শুধু আয়ের পথ নয়, অনেকেই এই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আসল সত্যিটা কি? যেরকম সমস্ত চকচক করা জিনিসই সোনা হয় না তেমনই সোশ্যাল মিডিয়াতে চমকানো প্রত্যেকটি জিনিসই সেভাবে সফল হয় না। ফুল কন্টেন্ট ক্রিয়েটার হওয়া অত সহজ নয়।

জন্য সফল হওয়ার মানে কি ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে প্ল্যাটফর্ম এ লোকেরা লক্ষ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার একদিনে আসে না এর জন্য লম্বা সময় লাগে সেখানে অনেক লোকেরা মনে করে যে প্লাটফর্মে মজুদ সকল লোকেরাই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে তাদের জীবন বিলাস বেসনে কাটছে কিন্তু এই মায়ানগরীর বাস্তবে এটা নয়। যেমন লোকেরা মনে করেন সবচেয়ে সহজ উপায় হলে তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যে আসলে কিভাবে

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টার হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামানোর সিক্রেট কী?
  • 3/8

৩. শ্লোক শ্রীবাস্তব ইউটিউবে অত্যন্ত পপুলার। কিন্তু তার পপুলারিটি একদিনে আসেনি। ইউটিউবে এবং instagram দুটোর মধ্যেই প্ল্যাটফর্ম বানানোর জন্য সময় লাগে .কিছু এমন কাহিনী বাস্তবে রয়েছে, যার কথা বলতে গেলে লোকে জানিয়েছেন, ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটার হওয়া স্বপ্ন ছিল না। তিনি জানান যে, আমার বন্ধুবান্ধব, পরিবার পরিচিতির মধ্যে টেকনোলজি সহজে বোঝানোর জন্য কিছু ইউটিউব ভিডিও চালু করেছিলাম। তবে কন্টেন্ট আরও ভালো করে করার চেষ্টা করে গিয়েছি। আমার মনে হয় যে লাগাতার কাজ করে যেতে হবে মানুষের কাজে লাগে এবং তারা পছন্দ করেন এরকম ভিডিও তৈরি করতে হবে। নিজের শুরুর দিনে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, কলেজের সময় বাবার অফিসে ল্যাপটপ ভিডিও বানানোর জন্য ব্যবহার করতাম। আমি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডেভলপ করেছি, কীভাবে ক্যামেরার সামনে বলা উচিত এবং টেকনোলজির সঙ্গে জড়িত তথ্য সিম্পল এবং কি রকম হওয়া উচিত। শুরুর চার বছরে ফলোয়ারসের সংখ্যা শুধু পাঁচ হাজার পর্যন্ত পৌছেছিল। আর আজ ৫ কোটি পর্যন্ত ভিউজ প্রত্যেক মাসে আসে। এ সমস্ত কিছু সময় লেগেছে। কিন্তু শুরুর সময় আমি ভিডিও তৈরি করা জারি রেখেছিলাম।

ইউটিউবে ঠিকঠাক রিচ হওয়ার পরে রেভিনিউ আসা শুরু হয়। আজ তার ভিডিওতে অ্যাপল samsung এবং অন্যান্য ছোট ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট বিজ্ঞাপনে আসে। কিছু কোম্পানি তাঁকে প্রোডাক্ট রিভিউর জন্য পাঠান। কিন্তু তার ভিডিওতে স্ক্রিপ্ট অথবা রিভিউ নিজের হয়।

Advertisement
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টার হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামানোর সিক্রেট কী?
  • 4/8

৪. শ্লোকের মত  স্যালোনির ভিডিওও লোকেদের খুব পছন্দ। স্যালোনি কমেডি কনটেন্ট ক্রিয়েট করেন এবং তার ভিডিও ভাইরাল হয়। কিন্তু তার সফর যখন শুরু হয়েছিল তা এভাবে হয়নি। নিজের শুরুর দিনের কথা বলতে গিয়ে সালোনি জানান যে, আমি প্রথমবার নিজের বাবা-মার কাছ থেকে যখন দূরে ছিলাম, তখন আমার জন্য একটা সহজ ছিল না। কলেজে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে তেমন মিশতে পারতাম না। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের বিষয়ে জানতে পারি। প্রথম স্মার্টফোন পাওয়ার পর আমি এগুলি জানতে পারি। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে যে আমার নিজের জোকগুলি আমি শুধুমাত্র বন্ধুবান্ধব নয় ইনস্টাগ্রামে ভিডিও বানিয়ে শেয়ার করব। সেভাবেই হঠাৎ শুরু হয়ে গিয়েছিল ২০১৯ এ তার প্রথম একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। এখান থেকেই তার প্রথম আয় করা শুরু হয়। তবে তার জন্য সময় লেগেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টার হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামানোর সিক্রেট কী?
  • 5/8

৫. ইউটিউবে মহেশ কেস ওয়ালার একাউন্টে অত্যন্ত চর্চিত। তার নামে তার ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে. যার ৪ মিলিয়ন অথবা ৪০ লাখ এর বেশি ফলোয়ার রয়েছে। নিজের সফরের বিষয় মহেশ জানান যে ২০১৫-১৬তে ভুবন বাম এর ভিডিও দেখতাম। সেখান থেকে নিজের সফর শুরু করার একটা পরিকল্পনা মাথায় আসে। কিন্তু শুরুর সময় ভাল ছিল না। তিনি শুরুতেই অনেক কিছু ট্রাই করেছেন। মিমস থেকে টপ টেন প্লেস টু ভিজিট। তার বিভিন্ন রকম কনটেন্ট তৈরি করেন। বাড়িতেও এসব বলা মুশকিল ছিল যে ইউটিউবে তিনি কি করেন। কিন্তু তিনি ভিডিও বানাতে শুরু থাকেন। মহেশ জানান প্রায় এক বছর পরে আমি প্রথম পেমেন্ট পাই যা কুড়ি হাজার টাকা ছিল। এটা পাঁচ মাসের আয়। যা প্রত্যেক দিন চার পাঁচ ঘন্টা কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত ছিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টার হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামানোর সিক্রেট কী?
  • 6/8

৬. কীভাবে টাকা আসে?

Youtube বা instagram এ কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে যদি কামাইয়ের প্রাইমারি সোর্স মনিটাইজেশন হয়। কিন্তু এর জন্য কোন ইউজার্সকে কিছু জরুরি শর্ত পূরণ করতে হয়. ইউটিউবে মনিটাইজেশনের জন্য কোন ইউজারসের কাছে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার কমপক্ষে হওয়া উচিত। সেখানে গত ১২ মাসে তার ভিডিওতে ৪ হাজার ওয়াচ আওয়ার থাকতে হবে। এটা মানিটাইজেশনের জন্য এবং কোয়ালিফিকেশনের জন্য প্রাথমিক শর্ত। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টার হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামানোর সিক্রেট কী?
  • 7/8

৭. এছাড়াও আরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। ভিডিও এবং চ্যানেলের কমিউনিটি গাইডলাইন ফলো করতে হয়। টার্ম অফ সার্ভিস, কপিরাইট ,গুগল অ্যাডসেন্স, প্রোগ্রাম পলিসি এবং অন্যান্য পলিসি জাজ করা হয়। এরপরেই কোনও চ্যানেলকে মনিটাইজ করা হয়। এইভাবে ইন্সটাগ্রামে মানিটাইজেশনের কিছু শর্ত রয়েছে। যাতে আপনার কাছে বিজনেস অ্যাকাউন্ট হওয়া উচিত। আপনার ফলোয়ার্স এবং অনেক কিছু মনিটাইজেশনের আগে করা হয়।

Advertisement
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টার হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামানোর সিক্রেট কী?
  • 8/8

৮.কামাই আয়ের কি একটাই পথ

এই প্লাটফর্মে কনটেন্ট ক্রিয়েটারদের জন্য একাধিক রকমের আয়ের পথ রয়েছে. কন্টেন্ট ক্রিকেটারসরা নিজেরা ভিডিও করেন যাতে তাদের দ্রুত ফলোয়ার পাওয়া যায়। সেখানে অনেক সময় কোলাবরেশন প্যাড থাকে। এছাড়া ব্যাংক ব্রাঞ্চ কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের পেড প্রমোশনের জন্য যোগাযোগ করে। একাধিক রেটার এর কামাই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে অ্যাফিলিয়ে টেড লিংক এর মাধ্যমে হয়। কোনও কনটেন্ট ক্রিয়েটরের পপুলার হওয়ার পর থেকে সমস্ত কাজ তাদের জন্য কোনও এজেন্সি করে।

Advertisement