হ্যাকারদের শিকার WhatsApp। এই খবর নিশ্চিত করেছে Meta। এই হ্যাকিংয়ে জিরো ক্লিক টেকনিক ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগেই মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বেশ কিছু WhatsApp ইউজারকে নিশানা করেছে হ্যাকাররা।
Meta জানিয়েছে, এই সাইবার হামলায় গ্রাফাইট নামের প্যারাগনের নজরদারি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে।
ওই সোশ্যাল মিডিয়া সাইট কর্তৃপক্ষের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রায় ৯০ জন এই সাইবার হামলার শিকার হয়েছেন।
মেটা নিশ্চিত করেছে, হামলাকারীরা বেশ কিছু ব্যক্তিকে লক্ষ্য করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল হ্যাক করা।
এই তালিকায় ছিলেন সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের বেশ কয়েকজন সদস্য। সংস্থাটি প্রাথমিকভাবে মনে করছে, ২০ দেশের মানুষ এই তালিকায় ছিল।
প্যারাগন সলিউশন দ্বারা গ্রাফাইট আসলে জিরো ক্লিক প্রযুক্তিতে কাজ করে। এর মানে হল একটি ক্লিক ছাড়াই এটি ডিভাইস অ্যাক্সেস করতে পারে। এমনকী ডেটা চুরি করতে পারে।
এই হ্যাকিং প্রক্রিয়া এতটাই শক্তিশালী যে, মোবাইল মালিক এই চুরি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র চের পাবেন না। এর আগে একাধিক খবরেও এই তথ্য সামনে আনা হয়েছিল।
এই আবহে জিমেইলের পক্ষ থেকেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সব ব্যবহারকারীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জিমেল-এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২৫০০ কোটি। তাদের সবার কাছে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি একাধিক এমন তথ্য এসেছে যা ইউজারদের জন্য বেশ উদ্বেগের। সেখানে জানানো হয়, জিমেল থেকে নানা তথ্য চুরি তো করতেই পারে হ্যাকাররা। এমনকী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খালি করে দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, WhatsApp যাতে নিরাপদ থাকে, কেউ যাতে হ্যাক করতে না পারে সেজন্য বেশ কতগুলো সাধারণ নিয়ম মেনে চলতে হয় ইউজারদের। যেমন, কখনও অপরিচিত নম্বর থেকে WhatsApp-এ অডিও বা ভিডিও কল এলে তা রিসিভ করা উচিত নয়।
অচেনা নম্বর থেকে আসা লিঙ্কে ক্লিক করলে বিপদ বাড়তে পারে। সন্দেহজনক নম্বর থেকে মেসেজ এলে তা অবজ্ঞা করুন। টাকা-পয়সা পাইয়ে দেওয়ার বা কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে WhatsApp-এ বিভিন্ন সময় মেসেজ এসে থাকে। সেগুলো এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার ইউজারদের বিশ্বাস জিতে তাদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে থাকে হ্যাকাররা। সেজন্য প্রথমে সেই ইউজারের সঙ্গে চ্যাট শুরু করে। আড্ডা দিতে দিতে বিশ্বাস জন্মায়। তখন ভেরিফিকেশন কোড বা পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেয়। সরল মনে দিয়ে দেন ইউজারও। ব্যস, ইউজারের অ্যাকাউন্ট চলে যায় হ্যাকারদের দখলে।