আপনি যদি একটি পেট্রোলের গাড়ি এবং একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির মধ্যে কোনটা কিনবেন, তা নিয়ে বিভ্রান্ত হন, তাহলে প্রথমেই এই দুই ধরনের গাড়ির মধ্যে কোনটা সবদিক থেকে সস্তা, তা বিবেচনা করা জরুরি৷
এই প্রতিবেদনে দেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ইলেকট্রিক গাড়ি Tata Nexon EV আর Tata Nexon-এর পেট্রোল ভেরিয়েন্টের মধ্যে তুলনামূলক উদাহরণ দেওয়া হল। এই প্রতিবেদন থেকে বুঝে নিন পেট্রোলের গাড়ি এবং একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির মধ্যে কোনটা কিনবেন...
আমরা Nexon-এর ইলেকট্রিক আর পেট্রোল— উভয়ের ভেরিয়েন্টের মধ্যে তুলনা করে এটি বোঝার চেষ্টা করব। ইলেকট্রিক সেগমেন্টে Tata Nexon EV XM এবং পেট্রোল সেগমেন্টে Tata Nexon XE পেট্রোল হল বেসিক মডেল।
দুটি ভেরিয়েন্টের মধ্যে দামের পার্থক্য
দিল্লিতে Tata নেক্সনের পেট্রোল সংস্করণের দাম ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়৷ Nexon EV এর দাম ১৪ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। ইলেকট্রিক আর পেট্রোল— এই দুই ভেরিয়েন্টের মধ্যে দামের ফারাক প্রায় ৭ লাখ টাকার। দামের বিচারে পেট্রোলের গাড়ি কেনা অবশ্যই সস্তা মনে হতে পারে। কিন্তু এখানে পেট্রোল এবং অন্যান্য রক্ষণাবেক্ষণ খরচও হিসেব করতে হবে।
খরচ
সাধারণত, একটি পেট্রোল কার একটি লিটারে গড়ে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার মাইলেজ দেয়। Tata Nexon সম্পর্কে কোম্পানি দাবি করেছে যে, এটি এক লিটারে ১৭ কিলোমিটারের বেশি মাইলেজ দেয়। এখন ধরুন যে এটি ১৫ কিলোমিটারের গড়ে মাইলেজ দেয়। কলকাতার আজকের পেট্রোলের দর ১০৪ টাকা ৬৭ পয়সা। তাহলে Nexon পেট্রোল থেকে ১০০ কিলোমিটার যেতে খরচ হবে প্রায় ৬৯৭ টাকা ৮০ পয়সা।
অন্যদিকে, Tata Nexon EV-তে রয়েছে 30.2kWh ব্যাটারি। এটি ৬০ মিনিটে প্রায় ৮০% চার্জ হয়ে যায়। পাশাপাশি কোম্পানির দাবি যে, এটি এক চার্জে ২৫০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার মাইলেজ দেয়। এখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে, বিদ্যুতের বিভিন্ন খরচ অনুসারে, Tata Nexon EV-এর 30.2kWh ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ করার খরচ প্রায় ৩০০-৩৫০ টাকা। অর্থাৎ, Tata Nexon EV ১০০ কিলোমিটার চালাতে খরচ হবে মোটামুটি Nexon পেট্রোল ভেরিয়েন্টের অর্ধেক।
রক্ষণাবেক্ষণের খরচে পার্থক্য
সাধারণত, গাড়ি সংস্থাগুলি পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়িগুলিতে সর্বোচ্চ ৫ বছরের পরিষেবার ওয়ারেন্টি দেয়। কোম্পানি Tata Nexon EV XM-এ ৮ বছরের পরিষেবার ওয়ারেন্টি দিচ্ছে। এইভাবে গাড়ির পরিষেবাতেও রয়েছে সঞ্চয়ের সুযোগ।
অন্যদিকে, একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির সার্ভিসিং খরচ পেট্রোল বা ডিজেল গাড়ির তুলনায় ৬০% কম। এভাবে দেখা গেলে ইলেকট্রিক গাড়ির চেয়ে পেট্রোলের গাড়ি কেনা সস্তা হতে পারে। কিন্তু জ্বালানি, পরিষেবা এবং মালিকানার খরচ হিসাব করলে পাঁচ বছরে পেট্রোলের গাড়ির চেয়ে বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিশাল অঙ্কের সঞ্চয় আশা করতে পারেন।