অক্টোবর মাস পড়েছে। শীত পড়তে বেশি দেরি নেই। শীতকাল পর্যন্ত এসি বন্ধ থাকবে কমবেশি সব বাড়িতেই। কয়েক মাস এসি ব্যবহার না করার কারণে ফের গ্রীষ্মে চালানোর সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শীতকালে এসি বন্ধ রাখার আগে কয়েকটি বিষয় মনে রাখবেন।
এখন যে সব এসি নতুন বিক্রি হচ্ছে বা সম্প্রতি যদি আপনি কিনে থাকেন তাহলে তাতে সেলফ ক্লিনিং অপশন থাকে। অর্থাাৎ টেকনিশিয়ান না ডেকেই আপনি নিজেই এসির ইন্ডোর ইউনিট পরিষ্কার করতে পারবেন। তবে এসির যে ফিল্টার আছে সেগুলো আপনাকে নিজে হাতেই পরিষ্কার করতে হবে।
নতুন রিমোটগুলোতে এসি পরিষ্কারের জন্য একটি আলাদা বোতাম থাকে। এই এসিগুলোকে স্মার্ট এসি বলে। সেক্ষেত্রে স্মার্ট টিভিকে যেভাবে মোবাইলের সঙ্গে সংযুক্ত করেন তেমনই এসিকেও স্মার্টফোনের সঙ্গে জুড়ে দিতে পারবেন। ফলে ফোনেই এসি পরিষ্কার করার অপশন চলে আসবে। যেমন অটোক্লিন, সেফফ ক্লিন ইত্যাদি।
এসির সেলফ ক্লিন করার জন্য প্রায় আধঘণ্টা বা তার থেকে কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে। এসি কত টনের তার উপর নির্ভর করবে সময়। যদি এসি বেশি টনের হয় তবে সময় আধঘণ্টার বেশি লাগার কথা। এক টন বা তার কম পাওয়ারের এসি যদি হয় তাহলে আধ ঘণ্টার মধ্যে ক্লিন হয়ে যাবে। প্রথমে এসি চালু করে সেলফ ক্লিনিং বোতাম টিপতে হবে। তাহলে কম্প্রেসার চালু হবে। ফলে আপনি শব্দ পেতে পারেন। তাতে ঘাবড়ে যাবেন না।
এরপর ডিফ্রস্ট রিন্স কয়েলে বরফের পাতলা স্তর তৈরি হতে শুরু করবে তখন এসির ভিতর থেকে বরফ তৈরি এবং গলে যাওয়ার শব্দ শুনতে পাবেন। এমনকী ইনডোর ইউনিট থেকেও ধোঁয়া বের হতে পারে। তবে তা আসলে ধোঁয়া নয়। বরফের বাষ্প। কিছুক্ষণ পর দেখবেন এসির কম্প্রেসার নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে। একে রিন্স প্রক্রিয়া বলা হয়। এর অর্থ হল বরফ গলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত ধুলোকণা এবং ময়লা ড্রেন পাইপের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।
আবার সেলফ ক্লিনিং হওয়ার পরই আউটডোর ইউনিটের ফ্যান জোরে জোরে চলতে শুরু করবে। তখন কম্প্রেসার বন্ধ থাকবে। এটি আসলে কয়েল শুকানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। যদি শুকনো না হয়, তাহলে ছত্রাক জন্মাতে পারে। এসি থেকে দুর্গন্ধও বের হতে পারে। তাই এই প্রক্রিয়াটিও গুরুত্বপূর্ণ।