নতুন বা পুরনো বাইককে নিজের মতো সাজিয়ে নেন বাইকপ্রেমীরা। এই সাজানো-গোছানোকে মডিফিকেশন বা কাস্টমাইজেশন বলা হয়। নানাভাবে সাজানো হয় বাইককে। রং বদল তার অন্যতম। এছাড়া আলো, একজস্ট নোটও বদলে ফেলেন বহু মানুষ। আসলে পছন্দের বাইককে আরও ভাল করে তুলতে কে না চান! বিশেষ করে বাইককে যাঁরা ভালবাসেন তাঁরা তো পছন্দই করেন। অনেকে বাইককে সুন্দর দেখাতেই সাজিয়েগুছিয়ে নেন। কেউ কেউ আবার পুরনো বাইককে নতুন অবয়ব দেন। আবার অনেকে সুরক্ষার জন্যেও অ্যাকসেসরিজ যোগ করেন। আসলে পুরো ব্যাপারটা নির্ভর করে ব্যক্তির উপরে। গতে বাঁধা কোনও নিয়ম নই। কিন্তু ট্রাফিক নিয়ম আছে। সেটা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না।
ট্রাফিক নিয়মের কথা মাথায় না রাখলে বাইককে আগের অবস্থায় ফেরাতে হবে। সেক্ষেত্রে যত টাকা খরচ হল সেটা বেকার যাবে। তার উপরে অতিরিক্ত খরচের আশঙ্কাও রয়েছে। সেই সঙ্গে মোটা টাকা জরিমানা। তাই বাইক মডিফিকেশনের ভাবনা থাকলে নিয়মগুলি জেনে নিন।
বিকট শব্দের সাইলেন্সার- সাইলেন্সার নিয়ে বাইকপ্রেমীকে একটা প্যাশন রয়েছে। অনেকেই এজন্য বুলেট চালাতেন এককালে। যদিও সেই আওয়াজ আর বুলেটের নেই। এখন আবার অনেকে সাইলেন্সার মডিফাই করান। প্রচণ্ড শব্দ বেরোয় সাইলেন্সার থেকে। বাইকের ফ্যাক্টরি ফিটেড সাইলেন্সার পছন্দ নয় তাঁদের। উচ্চস্বরের একজস্ট নোট লাগাতে চান তাঁরা। এর জন্য কাস্টম সাইলেন্সার যোগ করেন বাইকে। এই কাস্টম সাইলেন্সার বিকট আওয়াজ তৈরি করে। তার ফলে ভয়ানক শব্দদূষণ নয়। এই বিকট শব্দের সাইলেন্সার বেআইনি। পুলিশ ধরলেই লাইসেন্সার বাজেয়াপ্ত হবে। দিতে হবে জরিমানাও।
নম্বর প্লেটে কায়দা- অনেকে নম্বর প্লেটেও কায়দা করেন। নম্বর প্লেটের ফন্ট, রঙ বদলে দেন। নানা ধরনের আকারের নম্বর প্লেট লাগান তাঁরা। এগুলি একেবারে বেআইনি। নম্বর প্লেট কেমন হবে তার জন্য সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে। সেই সরকারি নির্দেশিকা মেনে নম্বর প্লেটে RTO স্বীকৃতি দিলেই ব্যবহার করুন। নইলে জরিমানা দিতে হবে।
রং বদল- বাইকে যা ইচ্ছা রং করা যায় না। অনেকেই নিজের পুরনো বাইকে পছন্দের রং করাতে চান। তবে চাইলেই যা খুশি রং লাগানো যায় না। বাইকের রঙ পরিবর্তন করতেই পারেন। এতে কোনও সমস্যা নেই। তবে কী রং বাছছেন সেটাই জেনে নিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, RTO অনুমোদিত রং করা যেতে পারে। রং পরিবর্তনের আগে স্থানীয় RTO থেকে তার অনুমোদন নিন। বাইক চুরি করে রং বদল করা হয়। এটা রুখতেই অনুমতির ব্যবস্থা। এছাড়া সেনাবাহিনীর রঙে বাইকের রং করানো যায় না। অনেকেই সেনাবাহিনীর জলপাই রঙে বাইক রং করাতে চান। তাঁরা সাবধান হোন। এটা করলে জরিমানা হতে পারে, সেই সঙ্গে রং নতুন করে করাতে হবে। ফলে অহেতুক পয়সা নষ্ট হবে।
আরও পড়ুন- মদ ছাড়া এই ৪ সাধারণ খাবারও ক্ষতি করে লিভারের, সতর্ক হোন