scorecardresearch
 

Digital Personal Data Bill: ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হচ্ছে? ডেটা সুরক্ষা বিল আনছে কেন্দ্র, কী সুবিধা...

কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরে ডেটা সুরক্ষা বিল নিয়ে কাজ করছে। বেশ কয়েক বছর আলোচনার পর অবশেষে ভারত সরকার তার ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল (Digital Personal Data Protection Bill) পেশ করতে চলেছে। এই বিলটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে।

Advertisement
ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল
হাইলাইটস
  • এই বিলটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে
  • ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল এখন সংসদে পাসের জন্য পেশ করা হবে

কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরে ডেটা সুরক্ষা বিল নিয়ে কাজ করছে। বেশ কয়েক বছর আলোচনার পর অবশেষে ভারত সরকার তার ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল (Digital Personal Data Protection Bill) পেশ করতে চলেছে। এই বিলটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল এখন সংসদে পাসের জন্য পেশ করা হবে। এই বিল আমাদের ডেটা সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে৷ গত কয়েক বছরে ডিজিটাল দুনিয়া দ্রুত বদলে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি সহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহারকারীদের সমস্ত ডেটা সংগ্রহ করে। এই তথ্য যাতে অপব্যবহার না হয় সেজন্য এই বিল আনা হচ্ছে।

ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল দিয়ে কী হবে?

প্রায় ৬ বছর আগে গোপনীয়তাকে মৌলিক অধিকার বলে ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সরকার এখন ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা এবং ডেটার জন্য একটি বিল এনেছে। যদি এই বিলটি সংসদের উভয় কক্ষে পাস হয় এবং একটি আইনে পরিণত হয়, তবে এটি হবে ভারতের মূল ডেটা গভর্নেন্স ফ্রেমওয়ার্ক। এর উদ্দেশ্য হল ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা।

আরও পড়ুন

আসন্ন বর্ষার অধিবেশনেই এই বিল আনতে পারে সরকার

গত কয়েক বছর ধরেই সরকার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানিগুলোর মধ্যে অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। এই বিল আইনে পরিবর্তিত হলে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের ডেটা সংক্রান্ত অনেক ক্ষমতা থাকবে সরকারের হাতে। এমনকি সরকার এসব কোম্পানিকে জরিমানাও করতে পারে। ডিজিটাল ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা বিল ২০১৮ সালে চালু করা হয়েছিল, যখন বিচারপতি বি. এন. শ্রী কৃষ্ণের নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি বিলের খসড়া তৈরি করে। ২০১৯ সালে সরকার বিলটি সংসদে নিয়ে আসে, যা ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। যদিও পরে সরকার এই বিল প্রত্যাহার করে নেয়। এখন আবার নতুন করে এটি পেশ করা হবে।

Advertisement

আপনার উপর প্রভাব কী হবে?

যখন থেকে সরকার এই বিলে কাজ শুরু করেছে, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে সরকারকে কোম্পানিগুলিকে জরিমানা করতে হবে এবং ভারতীয় ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষিত করতে কাজ করতে হবে। তেমনই কিছু ঘটেছে এই বিলে। এই বিল সরকারকে কোম্পানিগুলির উপর জরিমানা আরোপ করার এবং ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষিত রাখার ক্ষমতা দেয়৷ এই বিলের পর সরকার একটি তথ্য সুরক্ষা বোর্ড গঠন করবে। এই বোর্ড গোপনীয়তা সংক্রান্ত সমস্যা এবং দুই পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে কাজ করবে। বোর্ডে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করার এবং চিফ এক্সিকিউটিভ নিয়োগ করার অধিকার কেন্দ্রীয় সরকারের থাকবে। যদি কোনও প্ল্যাটফর্ম মনে করে যে তারা এই আইন লঙ্ঘন করেছে, তবে তাদের এর জন্য ডেটা সুরক্ষা বোর্ডের কাছে যেতে হবে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পূর্ণ অধিকার বোর্ডের থাকবে। বোর্ড হয় কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে বা নিষ্পত্তি ফি চাপাতে পারে। আইন অনুযায়ী, জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণের অধিকার বোর্ডের হাতেই থাকবে।

সারা বিশ্বের নিয়ম কী?

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৮ সালে জার্নাল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন চালু করেছে। GDPR তথ্য সংগ্রহ, এর ব্যবহার এবং সঞ্চয়ের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।। GDPR প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে তাদের ডেটার উপর নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। তথ্য লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, এই আইন কোম্পানিগুলিকে জরিমানা আরোপের ক্ষমতাও দেয়। একইভাবে, জার্মানির ফেডারেল ডেটা সুরক্ষা আইন রয়েছে, যা জিডিপিআর-এর বিধানগুলিকে প্রসারিত করে৷ অন্যদিকে, ফ্রান্সের ডিজিটাল প্রজাতন্ত্র আইন রয়েছে, যা স্বতন্ত্র ব্যবহারকারীদের তাদের স্বাস্থ্যসেবা ডেটার অ্যাক্সেস এবং নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার দেয়। এশিয়াতেও APCE ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত করার স্বাধীনতা দেয়। এই কাঠামোটি ৯টি গোপনীয়তার নীতির উপর কাজ করে। একইভাবে, US-EU প্রাইভেসি শিল্ড রয়েছে, যা ব্যবসাগুলিকে EU এবং US-এর মধ্যে ডেটা স্থানান্তর করতে দেয়।

Advertisement